মালয়েশিয়া তার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ এলাকা বা সেফ জোন ঘোষণা করেছে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই কিম জং ন্যামের ওপর ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করার তথ্য উদঘাটনের পর এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিম জং ন্যামের ওপর গত সপ্তাহে ভয়াবহ এই রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ঘটে ১৩ই ফেব্রুয়ারি। ওদিন এক নারীকে দেখা যায়, তার পিছন থেকে গিয়ে লাফিয়ে উঠে কিম জং ন্যামের মুখে ওই রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে উত্তর কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনুসন্ধানে সন্দেহের তীর রয়েছে কমপক্ষে আট জনের দিকে। তার মধ্যে মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারিও রয়েছেন। তাকে অনুসন্ধানে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। যদি তিনি তা না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে বলে জানানো হয় মালয়েশিয়া পুলিশের পক্ষ থেকে। ওদিকে শনিবার দিবাগত রাত একটায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট টার্মিনালে পরিষ্কার অভিযান চালিয়েছে ফরেনসিক টিম, অগ্নি নির্বাপণ বিভাত ও এটমিক এনার্জি লাইসেনসিং বোর্ড। এরপর সেলাঙ্গর রাজ্যের পুলিশ প্রধান আবদুল সামাদ মাট বলেছেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, বিমানবন্দরের ওই টার্মিনালে এখন আর কোনো ক্ষতিকর পদার্থ নেই। দ্বিতীয়ত, ওই টার্মিনাল এখন যেকোনো রকম সংক্রামক পদার্থ মুক্ত। তৃতীয়ত, ওই এলাকাকে নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তারা যখন ওই এলাকায় অভিযান চালান তখন কিম জং ন্যামের ওপর হামলা হওয়ার স্থানটি ঘেরাও করে রাখা হয়। তবে টার্মিনালের বাকি এলাকা ছিল উন্মুক্ত। উল্লেখ্য, কিম জং ন্যামের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে জাপানের ফুজি টিভি। তাতে দেখা যায়, দু’জন নারী কিম জং ন্যামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা হাতে কাপড় নিয়ে তা তার মুখের ওপর ছড়িয়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কাপড়ে ছিল নার্ভ গ্যাস। এর পরের এক ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, কিম জং ন্যাম বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কাছে মেডিকেল সহায়তা চাইছেন। তিনি চোখ কচলাচ্ছেন। তিনি এ সময় মাথা ঘুরছে বলে অভিযোগ করেন। তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান।