মাদকের বিরুদ্ধে ‘রক্তাক্ত লড়াইয়ের’ সমালোচনা করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘ভণ্ডামি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছেন ‘সানস অব বিচেস’ (যার বাংলা অর্থ খুবই কদর্য ও অশ্লীল)। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা দুতের্তেকে মাদকের বিরুদ্ধে ‘রক্তাক্ত লড়াই’ থেকে বিরত থাকার ও এ লড়াই নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে আহ্বান জানানোর পর দুতের্তে ওই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মাদকের বিরুদ্ধে গত ৯ মাসে তার নির্দয় অভিযানে নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এরই প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই আহ্বান জানায়। ইইউয়ের আইন প্রণেতারা ফিলিপাইনে অনেক বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ের নিন্দা জানান। ফলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। তিনি চীনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাকালে ক্ষোভ ঝেরে দেন। প্রশংসা করেন চীনের। বলেন, তার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই ক্যাবলামার্কা পুনর্বাসন কর্মসূচির যেখানে ডাকাতি, ধর্ষণ ও হত্যা বন্ধ হয় না। রড্রিগো দুতের্তে বলেন, ফিলিপাইনে এখন প্রচুর চীনা অর্থ আসছে। তাই কঠিন অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে আমরা এখন অনেকটাই মুক্তি পাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা চায় মাদকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যভিত্তিক সমাধান। তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে পুনর্বাসনের কথা বলছে তাতে কোকেন, মারিজুয়ানা ও হেরোইনের মতো মাদকের বিস্তারকে অনুমোদন করে। তারা চায়, আমরা যাতে ক্লিনিক স্থাপন করি। গ্রেপ্তারের পরিবর্তে মাদক সংশ্লিষ্টদের জেলে ভরি, যেমনটা করছে অন্য দেশগুলো। আপনি যদি সেখানে যান, আপনি যদি শাবু (মেটামরফিন) চান তাহলে আপনাকে তারা ইঞ্জেক্ট করবে এবং আপনাকে শাবু দেবে। আপনি বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সমালোচনা এবারই প্রথম করলেন না দুতের্তে। গত সেপ্টেম্বরে তিনি মধ্যাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অবজ্ঞাপূর্ণ মন্তব্য করেন। তারপর অভিযোগ করেন, তাকে অপমান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগকারী হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন।