আগামী দোসরা মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে ৭ লাখ টন বোরো ধান, ৩৪ টাকা কেজি দরে সাত লাখ টন চাল, ৩৩ টাকা কেজি দরে ১ লাখ টন আতপ চাল এবং ২৮ টাকা কেজি দরে এক লাখ টন গম সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এদিকে, সরকারের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে বর্তমানে চাল ও গম মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন চাল এবং ২ লাখ টন গম। এ অবস্থায় আসন্ন বোরো মৌসুমে আরও ১৬ লাখ টন ধান, চাল ও গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জানান, মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কৃষকদের সরাসরি মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে এবার খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৮ লক্ষ মেট্রিক টন চাল এবং ৭ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে আমরা কিনবো। কৃষকদের আমরা সরাসরি চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করবো যাতে সরাসরি টাকাটা কৃষকদের একাউন্টে জমা হয়।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বোরো সংগ্রহের সময়সীমা হচ্ছে ২মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আর গম সংগ্রহের সময়সীমা হচ্ছে ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।’ ধানের উৎপাদন খরচের চেয়ে ২ টাকা এবং চাল উৎপাদন খরচের চেয়ে ৩ টাকা বেশি ধরে এবার ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চালের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছি কেজি প্রতি ৩৪টাকা, আতপ চালের ক্রয় মূল্য ৩৩টাকা। ধানের ক্রয় মূল্য নির্ধরণ করেছি ২৪টাকা। গম সংগ্রহ করবো ১ লক্ষ মেট্রিক টন যার ক্রয় মূল্য হবে ২৮ টাকা। এ বছর সারাদেশে এক কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ কৃষি বিভাগের।