প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল মঙ্গলবার ভুটান যাচ্ছেন। সেখানে তিনি অটিজমের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ‘অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক তিন দিনের এ সম্মেলন ১৯ এপ্রিল শুরু হবে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামগেল ওয়াংচুক ও প্রধানমন্ত্রী তেসেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আজ সোমবার বাসসকে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা ড্রুক এয়ারের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে আগামীকাল সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবেন। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে উড়োজাহাজটির ভুটানের রাজধানীতে পাড়ো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর কথা।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও থিম্পুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। এ সময় তাঁকে আনুষ্ঠানিক খাদার (স্কার্ফ) উপহার দেওয়া হবে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে এবং তিনি গার্ড পরিদর্শন করবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হবে। প্রাসাদের মূল ফটকে একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। পরে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। প্রাসাদে ভুটানের রাজা ওয়াংচুক ও রানি জেটসান পেমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে।
এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভুটানের বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে। রাজকীয় আপ্যায়ন হলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্মানে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। বুধবার সকালে শেখ হাসিনা রাজকীয় আপ্যায়ন হলে গেস্ট অব অনার হিসেবে ‘অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সৌজন্যে দেওয়া ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর ওয়েলকাম লাঞ্চে অংশগ্রহণ করবেন। বিকেলে শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে অটিজম ও অন্যান্য নিউরোডেভেলপমেন্ট সমস্যার যথাযথ সমাধানে সক্ষমতা অর্জন শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। শেখ হাসিনা হেজোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজা ও রানির দেওয়া এক ব্যক্তিগত ভোজে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর তিন দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করছে। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে সূচনা ফাউন্ডেশন (সাবেক গ্লোবাল অটিজম), অ্যাবিলিটি ভুটান সোসাইটি (এবিএস) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া কার্যালয়।
সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘এএসডি ও অন্যান্য নিউরোডেভেলপমেন্টাল সমস্যায় ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য কার্যকর ও টেকসই বহুমুখী কর্মসূচি’।