আগস্টেই বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। এ সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে দু’টি টেস্ট খেলবে অজিরা। পূর্ণাঙ্গ সফরসূচি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করা না হলেও চূড়ান্ত হয়েছে টেস্টের সম্ভাব্য ভেন্যু। জানা গেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দু’টি টেস্ট ম্যাচ।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে পারে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে মিরপুরের হোম অব গ্রাউন্ড প্রস্তুত করার জন্য গ্রাউন্স কমিটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে মিরপুরের বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিরপুরের সংস্কার কাজ শেষ না হলে ফতুল্লায় প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে দুই দল। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির গ্রাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিজ ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আগস্টে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে প্রস্তুত হবে মিরপুর স্টেডিয়াম। তবে শেষ দিকের কিছু কাজ হয়তো বাকি থাকতে পারে। তবে সেটাও যত দ্রুত শেষ করা যায় আমরা এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।’
এর আগে ২০০৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে ফতুল্লা ও চট্টগ্রামে দু’টি টেস্ট খেলেছিল রিকি পন্টিংয়ের দল।
এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা থাকলেও নিরাপত্তার অযুহাতে সফর স্থগিত করে অজিরা। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আমাদের দেশে এসে খেলতে সম্মতি জানিয়েছে। ঈদ-উল আযহার আগে তারা বাংলাদেশে আসবে। ঈদের আগে একটা ও ঈদের পর একটা টেস্ট খেলবে। অস্টেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা সশরীরে দেখে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে অস্ট্রেলিয়া সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তাদের পক্ষ যে ফিডব্যাক এসেছে তাতে আমরা এই সিরিজ নিয়ে আশাবাদী।’
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশ কি ধরণের নিরাপত্তা দেবে জানতে চাইলে সুজন বলেন, ‘প্রত্যেক সিরিজের আগে অতিথি দলগুলোর ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠাতে হয়। ক্যারল যখন এসেছিলেন তখন তিনি ভেন্যু ও হোটেল পরিদর্শন করেন। এর পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও কথা বলেছেন। আমরা বলেছি ইংল্যান্ডকে যেমন নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকেও একই নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তার কথায় আশ্বস্ত হয়েই অস্ট্রেলিয়া আসতে সম্মতি জানিয়েছে।’