খিলগাঁওয়ে উদ্ধার হওয়া গলাকাটা লাশের পরিচয় মিলেছে। উদঘাটন হয়েছে হত্যা রহস্য। নিহতের নাম কামাল উদ্দিন (২৭)। ছিলেন চাকরিজীবী। তার বন্ধু জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে গলা কেটে তাকে খুন করেছে। এরপর লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে খুনের চতুর্থ দিন সোমবার দুপুরে মতিঝিল থেকে গ্রেপ্তারের পর খিলগাঁও থানা পুলিশের কাছে খুনের বর্ণনা দিয়েছে জাহাঙ্গীর। তার দেখানো তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে খিলগাঁওয়ের খিদমাহ হাসপাতালের কাছের বিশ্বরোড থেকে তোষক ও কাপড় মোড়ানো এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছিল খিলগাঁও থানা পুলিশ। এরপর তা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। সম্পন্ন হয় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত। পরে লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে কামালের বন্ধু জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার হওয়ার পর সবকিছু স্বীকার করলো। পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর ও নিহত কামাল পরস্পরের বন্ধু ছিল। মাঝে মাঝে তারা জাহাঙ্গীরের খিলগাঁওয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসায় যেতো। আড্ডা দিতো। গত বৃহস্পতিবার রাতেও জাহাঙ্গীর কামালকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। তারা নেশাও করতো। মাসখানেক আগে নেশা সেবন নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল। তখনই জাহাঙ্গীরের মাথায় খুন চাপে। কামালকে খুনের পরিকল্পনা নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে তারা আবারো তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে কক্ষে থাকা ছুরি নিয়ে জাহাঙ্গীর কামালকে জবাই করে। এই বাসার কিছুটা দূরের কক্ষে লোক থাকলেও তারা কিছুই টের পায়নি। এরপর জাহাঙ্গীর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার অপর দুই সহযোগীকে নিয়ে লাশ রাস্তায় ফেলে রাখে।
খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর কবির খান গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বলেন, জাহাঙ্গীর ও কামাল ছিল বন্ধু। এক সঙ্গে মাদক সেবন ও আড্ডা দিতো। বৃহস্পতিবার তর্কের এক পর্যায়ে ঘরে থাকা ছুরি নিয়ে সে কামালকে জবাই করার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামি রাজি হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতকে অনুরোধ জানানো হবে।