ফিলিস্তিন ও ইসরাইলিদের মধ্যে শান্তি আনয়নে সহায়তা করতে ‘সবকিছু’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি নেতা ‘সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে’ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় তিনি সন্তুষ্ট। উল্লেখ্য, গত ৩ বছরে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, দু’পক্ষের মধ্যে শান্তি আনাটা কঠিনতম একটি কাজ।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। তারা ইসরাইলি কারাগারে অনশন ধর্মঘট পালনকারী ফিলিস্তিনি বন্দিদের পক্ষে স্লোগান দেন। সোমবার ইসরাইলে পৌঁছে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যকার ‘অলঙ্ঘনীয় বন্ধনের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত’ করতে চান তিনি। তিনি আরো বলেন, ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি আনার বিরল সুযোগ এসেছে।
ট্রাম্প সৌদি আরব থেকে সোজাসুজি তেলআবিব উড়ে যান। সৌদি আরবে এক ইসলামী সম্মেলনে রোববার তিনি আরব ও মুসলিম নেতাদের একযোগে ‘ইসলাম-মতবাদী চরমপন্থি’দের নির্মূল করার আহ্বান জানান। অপরদিকে ফিলিস্তিনি নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি বেথলেহেম যান। তিনি বলেন, ‘আমি ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে আমি যেকোনো কিছু করতে ইচ্ছুক।’