প্রায় বছর ঘুরে আসছে কোর্টনি ওয়ালশ ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট রূপকথার এই নায়কের বাংলাদেশ ক্রিকেটে আসা যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই। তার হাত ধরেই দিনে দিনে আরও ধারালো হয়ে উঠছে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং বিভাগ। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি যেমন কার্টল অ্যাম্ব্রসের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাঁদিয়ে ছাড়তে বিশ্বের বাঘাবাঘা ব্যাটসম্যানদের তেমনি খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশেও এক জুটি।
চলতি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বর্তমানে দল নিয়ে আছেন ইংল্যান্ডে। এখনও এক ম্যাচও না জিতিলেও দল নিয়ে বেশ আশাবাদী এই কিংবদন্তী। বাংলাদেশের বোলিং এমনকি একটি আদর্শ জুটি সম্পর্কে কথা বলেছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সঙ্গে।
নিজের ক্যারিয়ারের সব থেকে ভালো সময় কাটিয়েছেন অ্যাম্ব্রোসের সঙ্গে জুটি গড়ে। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশেই বোলিংয়ে জুটি গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ওয়ালশ চান বাংলাদেশেও এমন জুটি গড়ে উঠুক। আইসিসিকে বলেন, ‘আমি সবসময় ওদের এটা বলে থাকি যে, পেসাররা শিকার ধরে জুটির মাধ্যমে। একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করতেন ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রা, হোল্ডিং-রবার্টস, মার্শাল-গার্নার, লিলি-থমসন, আকরাম-ওয়াকার জুটিরা। আমি ওদের সবসময় এই কিংবদন্তীদের থেকে প্রেরণা দেই। আমরা যদি অন্তত একটি জুটি পেয়ে যাই, তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশে এমন কোন জুটিকে আপনি পছন্দ করেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখানেও সম্ভাবনাময় কয়েকজন পেসার আছে। দুই তরুণ মুস্তাফিজুর রহমান এবং তাসকিন আহমেদ। শফিউল-রুবেলও আছে। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া অধিনায়ক মাশরাফি এখনও পর্যন্ত অসাধারণ একজন পেসার। এদের সঙ্গে আরেক তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আছে। তাসকিনের সঙ্গে মুস্তাফিজ যদি ১০ বছর একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তবে একটি দুর্ধর্ষ জুটি হবে। মেহেদী যদি তার স্পিন আক্রমণ নিয়ে এই দুজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে; তবে বাংলাদেশের বোলিংয়ে জন্য তা অসাধারণ একটা ব্যাপার হবে! তারা সবাই জানে, ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজেদের খেলার উন্নতি ঘটাতে হবে।’
বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছেন, যারা যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারেন। তবে যেহেতু বোলারদের নিয়েই তার কাজ সেক্ষেত্রে তাদের দিকেই মনোযোগ বেশি থাকে। তাদের উন্নতিটাই এখন তার প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশের এই ফাস্ট বোলিং কোচ বলেন, ‘হিথ স্ট্রিক বাংলাদেশের পেসারদের জন্য সত্যিই অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তিনি যেসব ট্রেন্ড শুরু করেছিলেন, আমি সেগুলো অব্যাহত রেখেছি এবং উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছি। আমি পেসারদের সেরাটা বের করে আনতে চাই; কারণ দিনশেষে কথা একটাই- ম্যাচ জয়। আমাদের পুরো কোচিং স্টাফ মিলে ক্রিকেটারদের জয়ের ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’