সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪ ডটকম: নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, লঞ্চ চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ঈদের আগে ও পরের পাঁচদিন বাল্কহেড কার্গো চলাচল বন্ধ থাকবে । ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নৌ-পথে দুর্ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব। এ ব্যাপারে যাত্রী সাধারণকে সচেতন হতে হবে।
শাজাহান খান যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন,‘ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চের ছাদে উঠবেন না। ২০১৬ সালে কোন লঞ্চডুবি হয়নি। ২০১৭ সালকেও নৌদুর্ঘটনামুক্ত বছর হিসেবে দেখতে চাই।’
নৌপরিবহন মন্ত্রী আজ বুধবার রাজধানীর সদরঘাটে সম্প্রসারিত টার্মিনাল ভবন, সদরঘাট থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা ও লালকুঠি মিনি পার্কের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. জ্ঞান রঞ্জন শীল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. শফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শাজাহান খান বলেন,‘দখল ও দূষণের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা। আমাদের বিশ্বাস উন্নয়নে।’
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর সলিড বর্জ্য উত্তোলনের জন্য ‘রিভার ক্লিনার ভেসেল’ সংগ্রহ করা হবে। নদী তীর যাতে পুনরায় দখল হয়ে না যায় সেজন্য ২০ কিলোমিটার ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ জ্বলছে গেছে। তারা এখন অন্ধকার দেখছে। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেন এবং বিএনপিকে অসৎসঙ্গ অর্থাৎ জামায়াতকে ত্যাগ করার পরামর্শ দেন।
বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,সম্প্রসারিত সদরঘাট টার্মিনাল ভবন (চার তলা) নির্মাণে ১৯ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এরফলে মূল টার্মিনাল ভবনের ওপর চাপ অনেকাংশে হ্রাস পাবে এবং যাত্রী সাধারণের চলাচল নিরাপদ হবে।
সদরঘাট থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা ও আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,এরমধ্যে রয়েছে তীর রক্ষা কাজ, স্পাড, গ্যাংওয়ে, র্যাম্প নির্মাণ, পার্কিং ইয়ার্ড ও সবুজায়ন। সদরঘাট থেকে লালকুঠিঘাট পর্যন্ত পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ হওয়ায় উক্ত এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের চলাচলও নির্বিঘ্ন হচ্ছে।