ছবির এই ছাগলগুলোর বাস আফ্রিকার দেশ মরোক্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। শুষ্ক জলবায়ুর ওই অঞ্চলে কোনো কোনো মৌসুমে মাঠে-ময়দানে ঘাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই পাতা খেতে গাছে উঠতে হয় এখানকার ছাগলকে।
মরোক্কোর এই গৃহপালিত ছাগল গাছে ওঠার সক্ষমতা নিয়ে জন্মায়নি। ছাগলগুলো শিশুদের দেখে গাছে ওঠা শিখে নিয়েছে; আর শিখতে সাহায্য করেছে তাদের মালিকেরা। মালিকেরা তাঁদের শিশুদের চড়ার সুবিধার্থে গাছের ডাল ছেটে দেন। এতে করে শিশুদের মতো শেষ পর্যন্ত ছাগলগুলোও শিখে গেছে গাছে চড়ার বিদ্যা। শরৎকালে মাঠে-ময়দানে যখন খাবার কমে যায় বা একেবারেই থাকেনা, তখন এখানকার ছাগলগুলো গাছে চড়েই বেশির ভাগ সময় ব্যয় করে।
গবেষকেরা দেখেছেন, এতে করে গাছও উপকৃত হয়। অনেক পশু বীজ খায় এবং মলত্যাগের মাধ্যমে তা অন্যত্র ছড়িয়ে দেয়। তবে এই ছাগলগুলো যে গাছের ওপর দেখা যাচ্ছে সেটি আরগান গাছ। এই গাছের বীজ এক ইঞ্চি লম্বা ও পুরু। এত বড় ও শক্ত বীজ ছাগলের পক্ষে খাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে গাছগুলোর জন্য সৌভাগ্য এই যে, ছাগল জাবর কাটে! গবেষকদের ধারণা, জাবর কাটার সময় ছাগল বড় বীজগুলো বাইরে ফেলে দেয়। অনেক সময় তারা মূল গাছ থেকে অনেক দূরেও বীজ ফেলে দেয়। এতে করে ওই গাছটির বংশবৃদ্ধি ঘটাতে ছাগলগুলো সহায়তাই করছে বৈকি! তা বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক!
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস (Translation: Prothom-Alo news)