ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন প্রথম চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। এ আসরেই নতুন ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশ খেলেছে সেমিফাইনাল। তাই পরের আসরে ফাইনাল খেলা নিয়ে বেশ আশাবাদী টাইগার-ভক্তরা। এমনকি ভারতের ভক্তরাও আশায় বুক বেঁধেছে ট্রফি ফিরে আসবে পরের আসরেই। তবে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ৮ দল নিয়ে এই ওয়ানডে টুর্নামেন্ট নিয়ে সব উত্তেজনায় পানি ঢালতে যাচ্ছে ২০২১ সালে পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। খোদ আয়োজক ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তাদের দেয়া বক্তব্যে ইঙ্গিত ৮ম আসরটিই ছিল শেষ। হয়তো আর কোনোদিনই এ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে না। দুটি ওয়ানডে টুর্নামেন্টের পক্ষে নন আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন। ২০১৯ থেকে ১০ দল নিয়ে শুধু ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রসঙ্গে রিচার্ডসন বলেছেন, ‘আমরা চাই আইসিসির প্রতিযোগিতাগুলো একটি অপরটির চেয়ে আলাদা হোক। মানুষ যেন পার্থক্য বুঝতে পারে। এতে প্রতিটি প্রতিযোগিতাই আলাদা করে দর্শকদের মধ্য আগ্রহ তৈরি করতে পারবে।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তুলনায় বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনেক বেশি লাভজনক। মূলত টি-টোয়েন্টিকে এগিয়ে নিতেই বন্ধ করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আরো বেশি সংখ্যক দেশকে ক্রিকেটের আওতায় আনা যাবে বলে মত রিচার্ডসনের। তিনি বলেন, ‘মূল ব্যাপারটি হলো, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দর্শকদের প্রচুর আকৃষ্ট করছে। টেলিভিশন কোম্পানিগুলোর উল্লেখযোগ্য রাজস্ব যোগান দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এটা আমাদের অধিক দলকে সুযোগ দেয়ার সুবিধা করে দিচ্ছে। সামনে ১৬ দলের কিংবা ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হতে পারে। এমন কিছুর দিকেই আপাতত দৃষ্টি রাখছি।’ ওয়ানডে ফরমেটের টুর্নামেন্ট নিয়ে রিচার্ডসন বলেন, ‘১০ দলের বিশ্বকাপে ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সর্বোপরি টুর্নামেন্টের মান বৃদ্ধিতে আমরা আশাবাদী। ৫০ ওভারের দুটি টুর্নামেন্ট অব্যাহত রেখে এগিয়ে নেয়াটা হয়তো প্রয়োজন হবে না।’
ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরটি জমে উঠেছিল দারুণভাবে। আসরের সবচেয়ে বড় চমক ছিল পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া ও বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলা। দারুণ সফল এ আসরটি নিয়ে আইসিসি কর্মকর্তার বক্তব্য বলছে, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’ হয়তো ইতিহাস হয়ে থাকবে।