পরোকিয়া প্রেমের টানে খালার ঘরে ভাগিনা, ঈদের দিন রাতে প্রেমিকার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিকা খালার ঘরে প্রেমিক ভাগিনাকে বে-রসিক গ্রাম বাসি আটক করে এবং মঙ্গলবার স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়ামারি গ্রামে।
২৭ জুন মঙ্গলবার এলাকাবাসি সংবাদের ভিত্তিত্বে জানাযায়, দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে কয়েক শত উৎসুক জনতার ভিড়ে আটক প্রেমিক উপজেলার শৈলান গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে কায়েস (২০) এবং (ময়ামারী) গ্রামের রিফাজ উদ্দিনের বিবাহিত মেয়ে এক সন্তানের জননী জেসমিন আকতার পপি (২২) এর সঙ্গে দেখা হয়। পপি জানান ২০১০ সালের ২২ ফেব্রæয়ারীতে শৈলান গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে কাঁচা মাল ব্যবসায়ি তারেক রহমানের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাদের ঘরে ৫ বছর বয়সের একটি মেয়ে সন্তানও আছে। প্রেমিক কায়েস জানান, পপি তার খালা বেশ কয়েক বছর ধরেই তারা একে অপরকে ভালবেসে আসছেন। ঈদের দিন সন্ধায় খালার মোবাইল ফোন পেয়েই খালার বাবার বাড়ীতে গিলে ঐ রাতে গ্রামের লোকজনরা তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করেছে।
পপির স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, কায়েস তার প্রতিবেশি। আমার স্ত্রী পপির সঙ্গে কায়েসের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। মেম্বার দেলোয়ার ও প্রতিবেশিদের নিয়ে শালিস করিয়ে ও তাদের সম্পর্ক ভাঙ্গতে পারি নাই। পপি বাবার বাড়িতে থেকে আমার বিরুদ্ধে কোর্টে যৌতুক ও ভরোন পোষের পৃথক দু’টি মামলা করেছে আমাকে ১৫ দিন হাজত খাটতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কাটলা ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, আমার অফিসে উপস্থিত এলাকাবাসির সামনে জেসমিন আকতার পপি ও তার পৃর্বের স্বামী তারেক রহমান সেচ্ছায় একে অপরকে কাজীর সামনে খোলা তালাক করেছে।
ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, কায়েস ও তারেক পাশাপাশি বাড়ির লোক। কায়েস ও পপির পরকিয়ায় অনেক দন্ধ হয়েছে। আজকে তাদের উভয়ের সেচ্ছায় তালাকের মধ্য দিয়ে এ দন্ধের অবসান হল।
আটক প্রেমিক ও প্রেমিকাকে ঘিরে সর্বস্থরের বে-রশিক জনতার নানা মূখরোচক গল্প এখন এলাকা এদের খালা ভাগিনার এমন ঘটনা নিয়ে গুজব সৃষ্টি হয়েছে।