উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে একটি ব্যালেস্টিক মিসাইল অনুশীলন চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার দাবি তারা প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞের ধারণা এটি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা থামাতে এবং এর পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে সামরিক অনুশীলন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতা শুধুমাত্র বিবৃতিতে নয়, বাস্তবেও দেখানোর প্রয়োজন পড়েছিল। অন্যদিকে কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ভিনসেন্ট ব্রুকস ও দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস জেনারেল লি সান-জিন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মিত্রদেশ দুটি তাদের ধৈর্য ও আত্ম-সংবরণ বজায় রেখে চলছিল। কিন্তু তা পাল্টাতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের দেশের নেতাদের আদেশ পেলে আমরা আমাদের ইচ্ছা পরিবর্তন করতে পারি।
এর অন্যরকম কেউ যদি কিছু ভেবে থাকেন তাহলে সেটা হবে চরম ভুল।’ উত্তর কোরিয়ার নতুন এই কয়েক দফার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে। উদ্বেগ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন ও জাতিসংঘে। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বিষয়টির উপর একটু জরুরি বৈঠক করতে বলেছে। আগামী বুধবার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি এ বিষয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসবেন।
এদিকে মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার চালানোর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশটির কাছে এখনো দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র নেই। বার্তা সংস্থা এপির এক খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বুধবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহসের প্রদর্শন করবে এবং অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে কোনো মধ্যস্থতা হবে না। গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয় কিম নতুন এই মিসাইল পরীক্ষাটিকে ‘মার্কিনিদের জন্য একটি উপহার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।