দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভাকে সাড়ে ৯ বছরের জেল দিয়েছে সেদেশের আদালত। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছেন। আপিলের শুনানি পর্যন্ত তিনি মুক্ত থাকবেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। লুলা ডি সিলভা ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলায় ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি প্রকৌশল বিষয়ক সংস্থা ওএএসএসএ থেকে তিনি ৩৭ লাখ রেইস (ব্রাজিলের মুদ্রা) ঘুষ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় তেল বিষয়ক কোম্পানি পেট্রোলিও ব্রাসিলিরোতেও দুর্নীতি করেছেন তিনি। তবে লুলা ডি সিলভা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয় নি। কিন্তু বিচারক সার্জিও মোরো তাকে এসব অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। এ মামলায় ব্রাজিলের ব্যাপক দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসে। তদন্ত হয়। এতে ব্রাজিলের রাজনীতিতে উত্তাল হাওয়া বয়। ব্যবসায়ী নির্বাহী ও অভিজাত রাজনীতিকদের যেতে হয় জেলে। সিলভার মামলার রায়ে বিচারক সার্জিও মোরো লিখেছেন, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত করতে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। আইন সবার উপরে। তাতে আপনি যত উঁচু স্তরেরই হোন না কেন। বিচারক বলেন, লুলাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিচ্ছেন না তিনি। কারণ, একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে এমন শাস্তি দেয়া একটি গুরুতর ব্যাপার। তাই তাকে আপিলের শুনানি করতে দেয়া উচিত। এখন এই আপিলের শুনানি করবেন ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি গ্রুপ। যদি সেখানেও তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হন তাহলে ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না সিলভা।