দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তবে এ অবস্থাতেও মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষদূত পদ থেকে তার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে আমরা সময়মতো পদত্যাগ করবো। সরকারের পদত্যাগ চান না জানিয়ে তিনি বলেছেন, সরকার পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে।
গতকাল রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে এখন ক্ষমতার তুফান চলছে। বগুড়ায় বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শহর শ্রমিক লীগের বরখাস্ত হওয়া আহ্বায়ক তুফান সরকারের কথা উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তুফান আওয়ামী লীগের কেউ না। গঠনতান্ত্রিকভাবে এটি গ্রহণযোগ্য হলেও রাজনৈতিকভাবে খোলা চোখে মানুষ মনে করে, শ্রমিক লীগ আওয়ামী লীগের অংশ। এই তুফান সরকার কী করে শ্রমিক লীগের নেতা হন। তার ভাই মতিন সরকার কী করে যুবলীগের নেতা হন।
এরশাদ বলেন, বিচারব্যবস্থা এখন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। সরকার যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। সংবিধানের ১৬তম সংশোধনীর বিষয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতের এ পর্যবেক্ষণের পর লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। এরশাদ বলেন, দেশের খাদ্য পরিস্থিতি এখন নাজুক। আমরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার কথা শুনেছি। এখন ১০ টাকা তো দূরে থাকা, সাধারণ মানুষকে ৫০ টাকায় চাল খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন নারী ধর্ষণের কথা পত্রিকায় আসছে। ঢাকা তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান চোখ হারাতে বসেছেন। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের এমন পরিস্থিতি ছিল না।