ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সমপন্ন করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে ৪ হাজার কোটি ইউরোর কাছাকাছি পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে প্রস্তুত বৃটেন। ব্রেক্সিট নিয়ে বৃটেনের সমঝোতা ‘স্ট্র্যাটেজির’ সঙ্গে জড়িত তিন সূত্রকে উদ্ধৃত করে বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। টেলিগ্রাফের এই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেক্সিটের পর বৃটেনের সঙ্গে ইইউয়ের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য চুক্তি কী রকম হবে এ ধরনের ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসার আগে বৃটেনকে ৬ হাজার কোটি ইউরো পরিশোধ করতে বলেছে ইইউ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রাফে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ব্রেক্সিট আলোচনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তারা। আর তাই, ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে বৃটেন ঠিক কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানা যায়নি। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে ইইউ-এর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটলে, এরপর থেকে প্রতি বছর ইইউকে ১ হাজার কোটি ইউরো করে তিন বছরে ৩০ হাজার ইউরো পরিশোধ করার প্রস্তাব রাখতে পারে বৃটেন। বাকি অর্থের পরিমাণ দুপক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময় ঠিক করা হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ পরিশোধের বিষয়টি অবশ্যই বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে থাকবে। প্রতিবেদনে এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘আমরা জানি (ইইউ) ৬ হাজার কোটি ইউরো দাবি করেছে। কিন্তু তাদের লক্ষ্য মূলত ৫ হাজার কোটি ইউরো। আর আমরা ৩ হাজার কোটি ইউরোতে রাজি হওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু আমাদের শেষ সীমা হলো ৪ হাজার কোটি ইউরো। যদিও আমাদের জনগণ আর অনেক রাজনীতিবিদ এখনও এ বিষয়ে সম্মত হননি।’ অপর এক সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বৃটেনের শেষ পরিসীমা ছিল ৩ হাজার কোটি ইউরো থেকে ৪ হাজার কোটি ইউরোর মধ্যে।’ অপর এক সূত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ৩ হাজার কোটি ইউরোর কিছু বেশি অর্থ পরিশোধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এদিকে, বৃটেনের পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট আলোচনার প্রধান ডেভিড ডেভিস ২০শে জুলাই বলেছিলেন, বৃটেন ইইউ এর প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা পূরণ করবে। তবে এ বিষয়ে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।