সারাদেশে বন্যায় এ পর্যন্ত ২০ জন মারা গেছেন। এছাড়া ২০ জেলার ৩৫৬টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।সোমবার দুপুরে চলমান বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর মহাখালীতে সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ আরো ৯টি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি। বন্যা মোকাবিলায় দিনরাত কাজ করা হচ্ছে।
মায়া বলেন, এখন পর্যন্ত ৯০টি পয়েন্টের মধ্যে ২৭টি পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিসহ ২০ জেলার ৩৫৬টি উপজেলার ৩৫৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৬ জন লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি মধ্যাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে নেমে যাবে। ফলে ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ আরো ৯টি জেলায় বন্যার আশঙ্কা আছে। তবে ১৯৮৮ সালের চেয়ে বড় বন্যা হলেও মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে সরকারের।
তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থবছরে বন্যাপ্রবণ জেলাসমূহে দশ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল, তিন কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ৬০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্লাবিত জেলাগুলোতে গত কয়েকদিনে এক হাজার ২শ’ মেট্রিকটন চাল ও ৬০ লাখ নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।