বাংলাদেশের সঙ্গে ১৭০ মাইল সীমান্তের মধ্যে অবশিষ্ট ৪০ মাইলে বেষ্টনী স্থাপন করবে মিয়ানমার। দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র ইউ জ হতে স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতিকে জানিয়েছে বিলম্ব না করে এ পদক্ষেপ নেবে মিয়ানমার সরকার।
বুধবার তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তে বেড়া স্থাপন করবো যেভাবেই হোক। আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। আমরা জানি না এজন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে। কিন্তু আমরা এটা করবোই।’
সীমান্তে বেড়া দেয়া প্রসঙ্গে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের আইনপ্রণেতা ও আরাকান ন্যাশনাল পার্টির নেতা ইউ খিন মাউং লাত বলে, বেড়া দেয়ার জন্য বাজেট চাওয়া হলে পার্লামেন্ট তা অনুমোদন দেবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। মাউং লাত বলেন, ‘বেড়া দিতেই হবে। সীমান্ত বেষ্টনী দূর্বল হওয়ার কারণেই সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে যে বেষ্টনী ব্যবহার করা হয় তার তুলনায় আমাদের বেষ্টনীর মান অত্যন্ত নিম্নমানের।’
এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চলছেই। জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ের ইয়াংঘি লি বলেছেন, ‘মিয়ানমারে সহিংসতায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি হতে পারে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।’ ইয়াংঘি লি নিহতের যে সংখ্যা বলেছেন তা মিয়ানমার সরকারের তরফে দেয়া নিহতের সংখ্যা থেকে দ্বিগুনেরও বেশি। আর চলমান দমন পীড়নে এ যাপত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দু’সপ্তাহেই এসেছে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা।