১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সোহানুর রহমান সোহান। আর এই ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ্। যার আসল নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। আর সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মৌসুমী। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত সালমান শাহের। পিছন ফিরে আর তাকাতে হয়নি এই কোটি ভক্তের নায়ককে। কিন্তু সম্প্রতি কথা উঠে এই প্রয়াত নায়কের নাম করণ নিয়ে। শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন থেকে কি করে সালমান শাহ হলেন? এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে মিডিয়ার বাতাশে। সত্যটা কি তা হয়তো জানা দরকার ভক্তদের।
আর এমন খবরের প্রকাশের পর বিডি২৪লাইভ’র সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আরেফিন সোহাগ যোগযোগ করেন সালমান শাহ্’র ‘মা’ নীলা চৌধুরীর সাথে। তিনি আলাপচারিতায় কথা বলেন নানা বিষয় নিয়ে।
বিডি২৪লাইভ: সালমান শাহ্’র মৃত্যুর ২১ বছর হয়ে গেছে। আজও তার কোন সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে যদি কিছু বলেন?
নীলা চৌধুরী: ছেলের মৃত্যুর ২১ বছর হয়ে গেলেও আজও বিচারের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। তবে বলে রাখি বিচার হবেই। বিচার আমি পাবো। বিচার হবে সালমান হত্যার। এই সরকারের আমলেই বিচার হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানাতে চাই, আমার ছেলের বিচার যেন আপনার এই সরকারের আমলে হয়। আপনি বিগত সময় ক্ষমতায় ছিলেন যখন আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়। সামিরার বাবা তিনি কেন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দলকে কলঙ্কিত করছেন? প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের ভরসা। আপনি বিচার করে দিন। আমরা আপনার বিচারের অপেক্ষায়।’
বিডি২৪লাইভ: সালমান শাহ্’র প্রাণের যায়গা এফডিসি। আপনার কি মনে হয় এফডিসিতে যথাযথ ভাবে স্মরণ করা হয় সালমান শাহকে?
নীলা চৌধুরী: আমার ছেলের সহ-শিল্পী হয়ে অনেকে কাজ করেছেন তারা আমার ছেলের মত। আমি সুখ-দুঃখ নিয়ে কথা বলার জন্য এফডিসিতে যাবো না। আমার ছেলের নাম এফডিসিতে নাই। আমার তাতে কোন আক্ষেপ নাই। কিন্তু আমার ছেলের জন্য অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী কেঁদেছে বা কাঁদছে।
বিডি২৪লাইভ: সালমান শাহ্’র নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে আপনি কিছু বলুন।
নীলা চৌধুরী: সালমান শাহ্ নাম নিয়ে কেন এত মাথা ব্যথা? আমার ছেলের নাম কেউ রাখেনি। আমি আমার ছেলের নাম রেখেছি। আর যদি এটা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করে আমি মেনে নিবো না।
বিডি২৪লাইভ: একজন সালমান শাহ্ সম্পর্কে বলুন।
নীলা চৌধুরী: আমার ছেলে জমিদারের ছেলে ছিল। আমার সালমানের কোন অভাব ছিলো না। সে কোনদিন অভাব কি সেটা বুঝেনি। আমার ছেলে আত্মহত্যা করার মত পরিবেশে ছিলো না। আমার সালমান নিজেই জমিদার। আমি নাম বলবো না। কেউ একজন দাবি করেছেন মৃত্যুর আগে নাকি আমার ছেলে তার কাছে থেকে টাকা চেয়েছিল। আমার ছেলে কেন তার কাছে টাকা চাইবে? আমার ছেলের তো কোন অভাব নাই। কেন সে মিথ্যা প্রচারণা করবে। আমার সামনে আসুক সে আমি জানতে চাই কেন আমার ছেলে তার কাছে টাকা চেয়েছিলো।
বিডি২৪লাইভ: রুবি সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
নীলা চৌধুরী: রুবি কোথায় আজ? রুবিকে গুম করা হয়েছে। রুবিকে ওরা সবাই মিলে হয়তো মেরে ফেলেছ। আমি রুবিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। আজ দেশের মানুষ বুঝছে সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক তথ্য একমাত্র ওই রুবি দিতে পারবে। আমি আবারো বলছি রুবিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। তাহলে সব সত্য বের হবে।