সেই ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেটিই ছিল প্রোটিয়াদের মাটিতে টাইগারদের শেষ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। ৯ বছর পর আবারো একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে মুশফিকের নেতৃত্বে টেস্ট দল পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। ১৫ সদস্যে দলটি অবশ্য এক সঙ্গে যেতে পারেনি। শনিবার সকাল ১০টায় পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে দেশ ছাড়েন দলের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, তিন খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম, লিটন দাস। তবে বড় দলটি দেশ ছাড়ে একই দিন সন্ধ্যা সাতটায়। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে ছিলেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেনরা। গতকাল তাদের বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জোহানেসবার্গে অবস্থিত বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। এছাড়াও ইংল্যান্ড থেকে এইচপির সঙ্গে সফরে থাকা শুভাশিষ রায় একাই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আর রোববার পাকিস্তান থেকে বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলে দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার পথ ধরেছেন টেস্টের সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এছাড়াও ছুটিতে থাকা দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথরুসিংহেও অস্ট্রেলিয়া থেকে দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাতে যোগ দেবেন।
সফরের শুরুতে ২১শে সেপ্টেম্বর থেকে একটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৮শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ব্লুমফন্টেইনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৬ই অক্টোবর। ১৫, ১৮ ও ২২শে অক্টোবর ওয়ানডে ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে কিম্বার্লি, পার্ল ও ইস্ট লন্ডনে। এখানে পরিবর্তন হবে অধিনায়ক। নেতৃত্বে দিবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব দিবেন সাকিব আল হাসান। এই সিরিজেই বাংলাদেশ প্রবেশ করবে তিন অধিনায়কের নেতৃত্বের যুগে। প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে ২৬শে অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে ফিরবে বাংলাদেশ। ২৯শে অক্টোবর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে সফর শেষ করবে টাইগাররা। ২০০৮ এ সিরিজে অবশ্য একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার তিন ফরমেটেই হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরেছিল টাইগাররা। এবার অবশ্য ইতিহাস বদলানোর হুঙ্কার দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৯ বছর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বর্তমান দলের চার ক্রিকেটার ছিলেন। এর মধ্যে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন অভিষিক্ত ইমরুল কায়েস। এবার দু’জনই রয়েছেন এ সফরে। এছাড়াও ছিলেন মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসানও। তবে সেবার শুধু উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা মুশফিক এবার দলের নেতৃত্ব দিবেন। সঙ্গে পাবেন না ৯ বছর আগে বল হাতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেরা পারফরমার সাকিব আল হাসানকে। ২ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এবার সফরের আগে হঠাৎ করেই বিশ্রামের অযুহাতে টেস্ট খেলা থেকে ছয় মাসের ছুটি চান বিশ্ব সেরা এ অলরাউন্ডার। বিসিবি অবশ্য শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই তাকে টেস্ট থেকে ছুটি দিয়েছেন। দলে পাঁচ পেসার। মোস্তাাফিজুর রহমানের সঙ্গে তাসকিন, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম এবং শুভাশিষ রায়। স্পেশালিস্ট স্পিনার রয়েছেন দু’জন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।