নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জে পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে এক তরুণীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতার মা জানান, তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মেয়ে (১৭) ও মেয়ের বান্ধবী (১৮) বাসার আঙ্গিনায় বসে পাচগুটি খেলছিল। এসময় পাশ্ববর্তী বাড়ির রফিক মিয়ার মেয়ে মিনা আক্তার তাদের উভয়কে পাশ্ববর্তী গ্রামের খান সাহেবের বাংলো বাড়িতে বেড়াতে যাবার প্রস্তাব দেয়। উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র খান সাহেবের বাড়িতে বেড়াতে যেতে তারা উভয়ে রাজি হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর মিনা বান্ধবীকে বিদায় করে দিয়ে আত্মীয়ের বাসায় যাবার কথা বলে উক্ত তরুণীকে পূর্বগ্রাম সাকিনস্থ মৃত আব্দুল জাব্বার ভূইয়ার ছেলে ওবায়দুল হকের ভাড়াটিয়া বাড়ির পুষ্পরানীর ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় ওবায়দুল হক ও তার আত্মীয় একই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে বাদশা ঘরে প্রবেশ করে। তারা পুষ্পকে দোকান থেকে কোকাকোলা আনতে পাঠিয়ে দেয়। পরে মিনা নিজেই বাইরে থেকে দড়জা বন্ধ করে দিয়ে পাহারা দিতে থাকে। এ সময় ঐ তরুনীর হাত ও মুখ বেধে দুই বখাটে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত পৌনে ১০ টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মারত্মক অসুস্থ অবস্থায় মিনা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সে তরুণীকে বাড়িতে পৌছে দিলে সে তার বাবা মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে তরুণীর আত্মীয়স্বজনরা থানা পুলিশের আশ্রয় নেয়। রাতেই পুলিশ বিভিন্নস্থানে তল্লাশী করে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন আমরা গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।