বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি গতকাল শেষ হয়েছে। আজ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত। বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (আজ) আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। বিসিবি ও এনএসসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
বিসিবির গঠনতন্ত্র সংক্রান্ত এক মামলায় আপিলের রায়কে নিজেদের পক্ষে দাবি করে ২রা অক্টোবরের সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করায় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এর আগে একটি আইনি নোটিশ পাঠান বাদী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। ওই নোটিশে বলা হয়, ‘নোটিশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিসিবিকে বার্ষিক ও বিশেষ সভা আয়োজনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।’ কিন্তু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তারা এ নোটিশ আমলে নেননি। উল্টো তিনি দাবি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আদেশে কোথাও বলা হয়নি বিসিবির বর্তমান কমিটি অবৈধ। এরপরই মামলার বাদী বিসিবির এজিএমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেন।
২০১২ সালের গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছিল বিসিবি। সেটি অনুমোদন না দিয়ে কিছু সংশোধনী এনে ওই বছরের নভেম্বরে নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করে জাতীয় পরিষদ (এনএসসি)। ডিসেম্বরে এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু ও মোবাশ্বের হোসেন। ২০১৩ সালের ২৭শে জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। পরদিনই হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে এনএসসি ও বিসিবি। ওই বছর ২৫শে জুলাই আপিলের অনুমতি দেয়া হয়। পরে এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্রেই নির্বাচনের অনুমতি পায় বিসিবি। এর চার বছর পর সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। রায়ে গঠনতন্ত্র সংশোধনের অধিকার শুধু বিসিবির এনসিএর নয় বলে জানিয়ে দেন আদালত।