রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ ফরিদপুরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গি ইউনিয়নের ভবুকদিয়া বাজার এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সোনার তরী পরিবহনের একটি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় বাসটি সড়কের পাশে পথচারীদের চাপা দেয়। এ সময় পাঁচু মাতুব্বর ও ওসমান মুন্সীর মালিকানাধীন দুটি মুদি ও পান-সিগারেটের দোকান বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন নগরকান্দার ডাঙ্গি ইউনিয়নের ডাঙ্গি-নগরকান্দা গ্রামের মৃত হামিদ চোকদারের ছেলে ওয়াজেদ চোকদার (৬৮) ও একই ইউনিয়নের বাঙ্গালকান্দা গ্রামের আমিন খার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা (৬০)। এ ছাড়া ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাঙ্গি গ্রামের নাসের মুন্সীর ছেলে সেকেন্দার মুন্সীর (৬৫) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মারা যান।
পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাসটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এর ফলে সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে।
এ দুর্ঘটনায় আরও ১২ জন পথচারী ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা আহত হয়েছেন। তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, এর মধ্যে জামাল ব্যাপারীর ছেলে রাকিব ব্যাপারীর (২৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডাঙ্গি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কালাম কাজী বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ওই বাসের যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেছেন, বাসের চালক এক হাতে মুঠোফোন ধরে এবং আরেক হাতে বাসের স্টিয়ারিং ধরে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বাস চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন, তাঁরা বারবার চালক ও সুপারভাইজারকে এ ব্যাপারে সতর্ক করলেও তাঁদের কথায় কান দেননি চালক।
নগরকান্দা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে, তবে চালকসহ বাসের অন্য স্টাফরা পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নগরকান্দা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।