হামিম রাফি , নিউজ ডেস্কঃ ভারতে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকার একটি বাড়িতে গত দুই বছর যাবৎ কাজ করছে ১৩ বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে। কাজ করানোর নামে শারীরিক অত্যাচার ও বেধড়ক মারধর করা হতো ওই মেয়েটিকে। না খাইয়ে রাখা হতো দিনের পর দিন। অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল। আর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ১৩ বছরের মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অবশেষে মেয়েটি ওই বাড়ির ১১তলা থেকে লাফ দেয়।
কিন্তু অকল্পনীয়ভাবে মেয়েটি বেঁচে যায়। ১১তলা থেকে লাফ দেওয়ার পর মেয়েটি ১০ তলার বারান্দার সঙ্গে থাকা পাখি বসার জালে (নেট) আটকে যায়। ওই বাড়িতে বসবাসরত একজনের চোখে পড়ে মেয়েটি ঝুলে রয়েছে। পরে মেয়েটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ওই মেয়িটিকে অত্যাচারের অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে উদ্ধার হওয়ার পর ওই মেয়েটি জানায়, তাকে প্রচণ্ড রকম শারীরিক নির্যাতন করা হতো। সেটা আর সহ্য করতে না পেরে ১১তলার বারান্দা থেকে লাফ দেয় সে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই নারী মেয়েটিকে ২ বছর যাবৎ বাসার মধ্যে আটকে রেখেছিলেন। মেয়েটিকে দিয়ে কঠোর কাজ করানো হতো। এ ছাড়া মেয়েটির সারা শরীরে পোড়া দাগ আর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মেয়েটিকে আপাতত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটির মেডিকেল চেকআপ করানো হলে জানা গেছে, মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে না খাইয়ে রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া.কম