মহিলাদের মিলন চাহিদার পিল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা তৈরি করল এমন এক ট্যাবলেট, যা খেলে মহিলাদের যৌন চাহিদা বেড়ে যাবে। এই ওষুধ বাজারে ছাড়ার জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন। সেই কারণে আপাতত তাঁরা ওষুধের স্যাম্পেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এবং ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশন দফতরে জমা দিয়েছে।
উত্তর ক্যারোলিনার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা, স্প্রাউট ফার্মাসিউটিকালসের তৈরি এই ওষুধটি মূলত নন- হরমোনাল, নাম ফ্লিবানসেরিন। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এটাই বিশ্বের প্রথম পিল, যা মহিলাদের যৌন চাহিদা বাড়াবে।
সংস্থার সিইও তরফে দাবি করা হয়েছে, বহু মহিলা, যাঁদের যৌন চাহিদা কম হওয়ার ফলে, তাঁদের স্বামী বা বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এই ওষুধ সেই সমস্যার অনেকটা সমাধান করবে বলে, দাবি করা হচ্ছে।
পুরুষ বা নারী, যেকোনও মানুষেরই যৌন চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। মূলত, মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটারে ভারসাম্যহীনতার ফলে একজনের যৌন চাহিদা বাড়ে বা কমে, দাবি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মনোরোগবিদ্যার প্রফেসর।
ফ্লিবানসেরিন নামের এই পিলটি মূলত সেই ভারসাম্যহীনতাকে সংশোধন করবে, এবং একজন মহিলার ভেতরে স্বাভাবিক যৌন চাহিদা বাড়িয়ে দেবে। এরমধ্যেই ওষুধটি এগারো হাজার মহিলার ওপর পরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে, বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
সমীক্ষা চালানো হয়েছে এমন কয়েকজন মহিলার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের যৌন চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমন কম যৌন আসক্তির জন্য যে মানসিক সমস্যার তৈরি হয়েছিল, তাও অনেক কমে গেছে। তৃতীয়ত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছেও অনেক বেড়ে গেছে সেই সমস্ত মহিলাদের মধ্যে, এবং বেড়েছে যৌন সম্পর্কের পর তৃপ্তিও।
তবে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সবসময় ঘুম ঘুম ভাব আসে, সঙ্গে বমি বমি ভাবও থাকছে। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, বিশ্বের মধ্যে ১০ থেকে ১২ শতাংশ মহিলা কম যৌন চাহিদায় আক্রান্ত। এই ওষুধ তাঁদের জন্য এক নিশ্চিন্ত সমাধান, সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোকে উপেক্ষা করতে পারলে।
গোপনাঙ্গে অতিরিক্ত সেভ করলে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
সম্প্রতি এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন যারা গোপনাঙ্গে ঘন ঘন সেভ করেন তাদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
তবে, ঘন ঘন সেভ করা ক্ষতিকর হলেও একেবারে যে সেভ করা যাবে না তা নয়। গবেষকরা বলছেন প্রতি বছর ১১ বার করে সেভ করা যেতে পারে গোপনাঙ্গের চুল। আর এর বেশি হলেই ক্ষতি হতে পারে।
ঘন ঘন সেভ করলে কী ক্ষতি হতে পারে? এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বলছেন এসটিআই বা সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি গবেষকরা এ বিষয়ে তাদের অনুসন্ধানের তথ্য সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন জার্নাল এ বিষয়ে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা ঘন ঘন যৌনাঙ্গের ও আশপাশের অংশের চুল সেভ করেন তাদের এসটিআই হওয়ার আশঙ্কা ৮০ শতাংশ বেশি।
এ গবেষণাতে ৭,৫৮০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের ওপর অনুসন্ধান পরিচালিত হয়। এতে দেখা যায়, যারা ঘন ঘন যৌনাঙ্গের ও আশপাশের অংশের চুল সেভ করেন তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। এক্ষেত্রে যারা যত বেশি সেভ করেন তাদের এ ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি।
সম্প্রতি যৌনাঙ্গের আশপাশের চুল সেভ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে তিনটি কারণে- খেলাধুলা, পর্নের প্রভাব ও যৌনতা। আর বর্তমানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুস্থতার ক্ষেত্রে অনেকেই সেভ করাকে বেশ ভালো মনে করছেন। যদিও বিষয়টি বাস্তবে তেমন নয়। প্রতি বছর ১১ বারের কম সেভ করলেই যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।