ভোলার শাহবাজপুরের পাশে একটি নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাপেক্স নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে। কোম্পানিটি আশা করছে, গ্যাসক্ষেত্র থেকে ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এটা আমাদের দেশের জন্য বেশ বড় সুসংবাদ। নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি সোমবার (গতকাল) মন্ত্রিসভার বৈঠকে অবহিত করা হয়। তিনি বলেন, ৭০০ বিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস হয়তো আছে।আগে ওখানে যে কূপ আছে সেটা মিলে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংস্থান ওখানে আছে বলে আমরা ধারণা পেয়েছি। এদিকে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, প্রাথমিকভাবে আন্দাজ করা হচ্ছে, এখানে ৭০০ বিলিয়ন কিউবিক ফুট বা বিসিএফ গ্যাস হয়তো আছে। তবে কী পরিমাণ গ্যাস আছে তা আগামী ২৮শে অক্টোবর সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে। তিনি বলেন, এ খনি থেকে পাওয়া গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করার চিন্তা রয়েছে। তাছাড়া, এ গ্যাস কোনো আবাসিক কাজে ব্যবহার করা হবে না। শুধু বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হবে। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদ ইসলাম জানান, নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান শাহবাজপুরের বর্তমান গ্যাসক্ষেত্র থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার পূর্বদিকে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগবি ইউনিয়নে। অনুসন্ধানে গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছিল। তবে যাচাই-বাছাই করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সেখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় গ্যাসক্ষেত্র। সামপ্রতিক সময়ে এত বড় ক্ষেত্র আর পাওয়া যায়নি। আরো যাচাই-বাছাইয়ের পর আমরা উত্তোলনযোগ্য প্রকৃত পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবো। এর আগে ভোলার শাহবাজপুর ক্ষেত্র থেকে ২০০৯ সালের ১১ই মে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স। সেখানে থাকা চারটি কূপের মধ্যে তিনটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে। বাপেক্স প্রকৌশলীদের ধারণা, শাহবাজপুরে ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত রয়েছে।