১৯৬ রানের লক্ষ্য মোটেও সহজ নয়। কিন্তু তারপরেও স্বাগতিকেরা যে ভয় পায়নি তা নয়। তবে তাতে আত্মতৃপ্তি পাওয়ার মতো কিছু ঘটাতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। শেষটা যেভাবে হয়েছে তাতে ‘ব্যবধানটা কমানো যেতো আরো’ এই আফসোসটাই ছিল সবার মধ্যে। সান্ত¦না যে অলআউট হয়নি তারা। শেষ পর্যন্ত সাইফুদ্দিন অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৯ রান করে।এটি অনূর্ধ ১৯ দলের এই সদ্য সাবেক তারকার মাত্রই তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ । তার সঙ্গে রুবেল ছিলেন ২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার চার বোলার ২টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ প্রথম ১০ ওভারে খুব ভালো অবস্থানে ছিল। ১৫ ওভার পর্যন্ত ওদের সমানই ছিল। কিন্তু অবিবেচকের মতো শট খেলে উইকেট বিলিয়ে । উইকেট থাকলে ওদের মতো শেষ ৫ ওভারে ৬২ রানও নেয়া যেত হয়তো।
১৫ ওভারে বাংলাদেশও ১৩৩
উইকেট বেশি না হারালে সমানই ছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকাও ১৫ ওভারের ১৩৩ রান করেছিল। তবে তাদের উইকেট ছিল ৩টি।
৯২/২ থেকে ১০১/৫। তবুও রানের চাকা চলছে। ১৩ ওভার শেষে সংগ্রহ ১১৮/৫। সাব্বির-সাইফুদ্দিন লড়ছেন।
মেরে না খেললে যে হবে না। তাই হাঁকাতেই চাইছলেন মশিফিক। কিন্তু তিনিও সাকিবের মতো ক্যাচ তুলে দিলেন ডি ভিলিয়ার্সের হাতে। সমান বলে সমান রান। আট বলে তিনিও আনলাকি থারটিন। তবে এক ছক্কা আর এক চার মারেন তিনি। পরের ওভারে আউট মাহমুদুল্লাহও।
এবারো ফিফটি হলো না সৌম্যর
সুযোগটা ভালো কাজে লাগাচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে একপাশ আগলে রেখে খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু ৪৭ রান করে লেগবিফোর উইকেট হয়ে বিদায় নিলেন। হলো না আন্তর্জাতিক টি-২০তে প্রথম ফিফটি। আগের ২৪ টি-২০তে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৪৮ রান। ১০ম ওভারের প্রথম বলে আউট হন তিনি। ৩১ বলের ইনিংসে ২টি ছক্কা আর ৫টি চার মারেন তিনি। তবুও বাংলাদেশের অবস্থা এখনো ভালো বলা যায়। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৯৭। জিততে হলে চাই আরো ৯৯ রান । মুশফিকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সাব্বির।
সমানতালে জবাব বাংলাদেশের
দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯৫ রানের জবাবটা ভালোভাবেই দিচ্ছে বাংলাদেশ। ৮ ওভারে বাংলাদেশ ৭৯ রান। ৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬৪। তবে এ ওভারের শেষ বলে ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক সাকিব উড়িয়ে মারতে গিয়ে কট আউট হন। ১১ বলে ১০ রান করে ইমরুল কায়েস আউট হওয়ার পর নামেন সাকিব। সৌম্য সরকার আর সাকিব সাবলীল খেলছিলেন। কিন্তু তাল রাখতে পারলেন না সাকিব। ফ্রাইলিঙ্কের বলে ভিলিয়র্সের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আট বলে ১৩ রান করার পথে তিনটি চার মারেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে সৌম্যর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মুশফিক। সৌম্য ৩৮ রানে খেলছিলেন।
বাংলাদেশের টার্গেট ১৯৬ রান
জিততে হলে বাংলাদেশ দলকে ২০ ওভারে করতে হবে রান। ব্লুমফন্টেইনে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা চার উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করলো ১৯৫ রান। কুইন্টন ডি কক সর্বোচ্চ ৫৯ সরান করেন। এছাড়া এবি ডি ভিলিয়ার্স ৪৯ রান করেন। তবে শেষ দিকে বেহারডিন ১৭ বলে ৩৬ রান করে রানকে অনেক বাড়িয়ে নেন। ২ ছক্কা আর ২ চার মারেন তিনি। শেষ ৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান যোগ করে। এর আগে ১০.৪ ওভারে তাদের স্কোর ১০০ হলেও মাঝে খেই হারায় তারা। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি, রুবেল ও সাকিব একটি করে উইকেট নেন। সাকিব এক প্রান্তে আর অন্য প্রান্তে মিরাজ বোলিং শুরু করে বিরল নজির দেখান।