লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বালাইশপুরের বটেরদিঘীর পাড় এলাকা থেকে পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, হত্যা, ডাকাতিসহ ২৮ মামলার আসামি মাসুম বিল্লাহ ওরফে লাদেন মাসুমের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দু.নলা বন্দুক, দুইটি এলজি, ১১ রাউন্ড গুলি ও ৩০টি ককটেল উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে বাহিনী প্রধান মাসুম বিল্লাহ ওরফে লাদেন মাসুম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় বলে দাবী পুলিশের। তবে পরিবারের দাবী, যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল মাসুম। রাজনীতি করার কারণে তার বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা রয়েছে। গত রোববার ঢাকার গুলিস্তান থেকে তাকে আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী।পুলিশের গুলিতে মাসুম নিহত হয় বলে দাবি করেন নিহতের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, বাহিনী প্রধান মাসুম বিল্লাহ ওরফে লাদেন মাসুম পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে সদর ও চন্দ্রগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন স্থানে ২৮টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মাসুম বিল্লাহ পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে সে ঢাকা থেকে এলাকায় আসে। এসময় বটের দিঘীরপাড় এলাকায় শাহাদাৎ বাহিনীর সঙ্গে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাগানে মাসুম বিল্লাহস ওরফে লাদেন মাসুমের গুলিবিদ্ধ লাশ বাগানে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত মাসুম সদর উপজেলার আবিরনগর এলাকার মাও.হাফিজ উল্যাহর ছেলে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন জানান, দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে বাহিনী প্রধান মাসুম বিল্লাহ ওরফে লাদেন মাসুম নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বন্দুক,দুইটি এলজি,১১ রাউন্ড গুলি ও ৩০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে ২৮টি মামলা রয়েছে।