কাতালোনিয়ার বহিষ্কৃত প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইগডেমন্ট ও সাবেক চার মন্ত্রীকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল বেলজিয়ামের এক বিচারক, বেলজিয়ামের আদালত স্পেনের ইইউ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করবে কি করবে না এ বিষয়ক শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না এই শর্তে তাদেরকে জামিন দেন। এর আগে স্পেনের আদালত তাদের বিরুদ্ধে ইইউ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (পুরো ইউরোপজুড়ে কার্যকর এমন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) জারি করলে তারা বেলজিয়াম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, কাতালোনিয়ার এই নেতাকে সম্ভাব্য হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দ্রুতই আবারো বেলজিয়ামের আদালতে হাজির হতে হবে। শুক্রবার অবাধ্যতা, রাষ্ট্রদ্রোহ ও জনগণের জন্য গঠিত তহবিলের অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে পুইগডেমন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এটি গুরুতর বিষয়। তবে পুইগডেমন্ট বলেছেন, তিনি অন্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে ইচ্ছুক না। রোববার তিনি বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি স্পেন থেকে পালিয়ে আসেন নি। বরং সহিংসতা এড়ানোর জন্য ব্রাসেলসে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ‘সহিংসতা আমাদের কোনোভাবেই পছন্দ নয়।’ ধারণা করা হচ্ছে, বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ তাদেরকে স্পেনে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তারা সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনায় কিছুটা সময়ক্ষেপণও হবে। তবে, বেলজিয়াম যদি অন্য একটি ইইউভুক্ত দেশের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় অনুমোদন করে তবে তা হবে অস্বাভাবিক।