রায়হান করির, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যর্থতা ভুলে জীবনটা নতুন করে সাজাতে হুট করেই বিয়ে করে ফেলেছেন। জীবনের নতুন পর্বে পা রাখা তাসকিন আহমেদ মাঠে নিজেকে নতুন করে চেনাতে শুরু করেছেন। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তাঁর বোলিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে চিটাগংয়ের জয়ে।
তাসকিন তো আজ হ্যাটট্রিকেরই সুযোগ পেয়েছিলেন। অল্পের জন্য সেটি না হলেও একটি ‘হ্যাটট্রিক’ কিন্তু ঠিকই হয়েছে! টানা তিনটি উইকেটেই জড়িয়েছে তাসকিনের নাম।
কাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে বোলিংটা ভালো হয়নি। ৩ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। কিন্তু আজও প্রথম ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন। প্রথম ওভারে ৭ রান দেওয়া চিটাগং পেসার ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে দারুণ এক ইয়র্কারে উপড়ে ফেলেন শাহরিয়ার নাফীসের উইকেট। বোপারা-নাফীসের ৪৯ রানের জুটি কিন্তু চোখ রাঙাচ্ছিল। পরের বলে শর্ট মিডউইকেটে মিসবাহ-উল-হকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকেও।
গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে করেছিলেন হ্যাটট্রিকে। আজ সুযোগ ছিল বিপিএলে তৃতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করার। ওভারের শেষ বলটায় থিসারা পেরেরার ড্রাইভ তাসকিনের পায়ে লেগে ভেঙে যায় স্টাম্প। রান আউট হন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ৩৮ রান করা বোপারা! তাসকিনের হ্যাটট্রিক না হলেও পরপর তিন উইকেট পতনের আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ হয়েছে চিটাগং ভাইকিংসের।
১৫তম ওভারে অবশ্য তাসকিনের ওপর চড়াও হন পেরেরা। ওই ওভারে এক চার, এক ছক্কা হাঁকানো শ্রীলঙ্কান পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে শান্ত করেছেন তাসকিনই, ডিপ মিডউইকেটে তানভীর হায়দারের ক্যাচে পরিণত করে। নিজের শেষ ওভারে ১১ রান দেওয়া তাসকিনের বোলিং বিশ্লেষণ—৪ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি।