ম্যাচের ১৭তম ওভার। চিটাগাং ভাইকিংসের পেসার শুভাশিষ রায় বল করছিলেন। তখন জাতীয় দল ও রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাটিংয়ে। হঠাৎ করেই দুজন উত্তেজিত। একপর্যায়ে মাশরাফির দিকে ছুটে যান শুভাশিষ। ভাবটা এমনই হয়তো হাতই তুললেন দেশ সেরা এ অধিনায়কের গায়ে।উত্তেজিত মাশরাফিও। গতকাল তিনি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলকে দাঁড়িয়েছিলেন। একে একে পার করেছেন ক্রিকেট জীবনের ১৬টি বছর। এ সময়ে তিনি শুভাশিষের মতো বোলারদের শত প্রতিকূলতায় আগলে রেখেছেন নিজের ছায়াতে। তাই মাশরাফির বিশেষ দিনে শুভাশিষের এমন আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠে ক্রিকেটাঙ্গনে। শুভাশিষের এমন আচরণ মেনে নিতে পারেননি কেউই। মাঠেও দর্শকরা নানাভাবে ভর্ৎসনা করেন শুভাশিষকে। তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে আরো একবার উদারতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমারই স্যরি বলা উচিত ছিল। ওটা সিরিয়াস কিছু না। মাঠের উত্তেজনার মুহূর্তে এগুলো হয়। আমি মনে করি আমার তাকে স্যরি বলা উচিত। এটা ক্রিকেটেরই অংশ হয়ে থাকে। ওর জায়গা থেকে আমি মনে করি ঠিক আছে। কারণ সেও জিততে চাইছিল আমিও জিততে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ওখানে আরেকটু মাথা ঠান্ডা রাখলে ভালো হতো।’
তবে মাশরাফি দুঃখ প্রকাশ করার কথা চিন্তা করলেও শুভাশিষের কী করা উচিত, তা নিয়ে তেমন কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি। মাশরাফি বলেন, এমন সিরিয়াস কিছু হয়নি এটা নিশ্চিত তবে জানি না ওর কী করা উচিত ছিল। কিন্তু একজন সিনিয়র হিসেবে অবশ্যই কুলডাউন হলে ভালো হতো।’ অন্যদিকে গতকাল তিনি একটি বিশেষ দিনে পা রেখেছেন। কেমন কাটলো তার ক্যারিয়ারের লম্বা সময়? তাই তা নিয়ে আগ্রহের শেষ ছিল না সংবাদমাধ্যমের। জবাবে মাশরাফি বলেন. ‘দিনটির কথা সকাল পর্যন্ত জানতাম না। হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে জানতে পেরেছি। অবশ্যই নিজের কাছে ভালো লাগছে। ১৬ বছর হলো দেখা যাক কতদূর যায়। গল্প আনন্দ বেশি ছিল। অবশ্যই ভেতরে অনেক দুঃখ ছিল, কষ্ট ছিল। এত বছর পার করতে অনেক কষ্ট হয়েছে স্পেশালি আমার ওপর দিয়ে যে ধকলগুলো গেছে তা অনেক কঠিন ছিল। এ কারণেই খুশি যে খেলতে পেরেছি, খেলে যাচ্ছি। আর সবাইকে ধন্যবাদ, যারা দোয়া করেছেন এবং করছেন।’