আশরাফুল আলম ভৈরব- কুলিয়ারচর প্রতিনিধি || অনেক আশা- আখাঙ্কা প্রত্যাশিত ভৈরব দ্বিতীয় রেলসেতু দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলা চল শুরু হয়েছে। নুতন সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে আগেই ট্রেন ও কন্টেনার চলাচল করা হয়েছিল। এখন থেকে প্রতিদিন আপ ট্রেনগুলি নতুন সেতু দিয়ে চলাচল করবে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করেছেন। ফলে রেলওয়ে বিভাগে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অর্থায়নে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইরকন অ্যান্ড এফকনস কোম্পানী ৬ শত ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।
দু’বছর মেয়াদে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে ৩ দফা সময় বাড়ানো হয়। এতে সেতুটি উদ্বোধনও অনেক সময় পেছিয়ে যায়। অবশেষে, চলতি বছরে নভেম্বর মাসের রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯শত ৮৪ মিটার এবং প্রস্থ্য ৭ মিটার। নির্মিত সেতুটিতে ব্রডগেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলে শুরু হয়। এরপর থেকেই সেতুটি উদ্বোধন অপেক্ষায় দিন গুনছে।
এ ছাড়াও তিতাস নদীর উপর দ্বিতীয় আরেকটি রেলসেতুসহ ছোট-বড় মিলে আরও ৬টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ১১ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে।
জানতে চাইলে রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চলীয়) জোনের মহা ব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মো: আব্দুল হাই জানান, ৬শ ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা করেছে।
সেতুটির মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট রেল পথে এক নতুন দিগন্তে সূচনা হবে। কোন ক্রসিং ছাড়া ট্রেন চলাচলের ফলে এই পথের যাত্রীদের সময় কম লাগবে। শুধু তাই নয়, এতে যাত্রীদের কয়েকগুণ ভোগান্তিও কমে আসবে। ফলে দিন দিন ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকবে।