ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সুমন ফকির প্রতিদিন গোয়াতলা বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। সকালে স্কুলে আর বিকালে স্কুল থেকে ফিরে বাজারে ছোট একটি ভ্যান গাড়িতে ঝালমুড়ি বিক্রি করে। এতেই কোন ক্রমে চলে তাদের সংসার। অল্প পুঁজির এই ব্যবসায় যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসারের নুন আনতে পানতা পুরোয়। পরিবারে বৃদ্ধা বাবা ও মা তেমন কিছু করতে না পারায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকেই। গোয়াতলা বাজারের পাশেই সুমনের বাড়ি। বাড়িভিটে ছাড়া কোন চাষাবাদ জমি নেই। বাবা হানিফ ফকির মাঝে মাঝে তাকে সহায়তা করে। পরিবারে তার বড় ভাই থাকলেও বিয়ে করে বাড়িতে জায়গা না থাকায় পাড়ি জমিয়েছে ঢাকায়। ১ বোনের বিয়ে হয়েছে। এই অবস্থায় বাবা ও মাকে নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সুমন। একদিকে সংসার অপরদিকে পড়াশোনা। আগ্রহ থাকলেও পড়াশোনা আর সম্ভব না। একদিন ঝালমুড়ি খাওয়ার ফাঁকে কথা হয় সুমনের সাথে। অত্যন্ত নম্র ব্যবহার। সে জানায় ঘরে বৃদ্ধ বাবা মা। সংসারের খরচ ঝোগাতেই কষ্ট হয় পড়াশোনা কিভাবে করব। তবে বিদ্যালয়ের বেতন মওকুপ করে দিলে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে বলে জানায় সুমন। বিষয়টি গোয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে অবহিত করলে তিনি বেতন ভাতা মওকুপ করে উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। সুমনের বাবা হানিফ ফকির জানায়, কিছু পুঁজি থাকলে দোকানটা বড় করতে পারলে আরও ভালো আয় হতো।