কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন। কারণ হিসেবে প্রশাসন বলছে, ‘অতিরিক্ত’ ত্রাণ বিতরণের সুযোগে অনেকে তা মজুদ করছে। গতকাল রোববার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহম্মদ আশরাফ হোসেন (শিক্ষা ও আইসিটি) স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। পরিপত্রে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ থেকে ১৭ই ডিসেম্বর খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অনুরোধ করা হয়। পরিপত্রে আরো বলা হয়, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মাঝে প্রায় বেশিরভাগ এনজিও ত্রাণ হিসেবে খাদ্য বিতরণ করছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী এবং নন ফুড আইটেম রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংরক্ষিত হচ্ছে ও অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী উখিয়া ও টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে ওই নির্দেশনার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।