পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের ঘোষণা প্রত্যাখান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, এই সব বিবৃতিতে আমাদের ওপর কোন প্রভাব পড়ে নি। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। উল্লেখ্য, বুধবার ওআইসির জরুরি অধিবেশনে ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখান করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান মুসলিম দেশগুলোর নেতারা।
খবরে বলা হয়, মুসলিম বিশ্বের নেতারা পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, শেষ পর্যন্ত সত্যেরই জয় হবে। দ্রুতই অনেক দেশ জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। পাশাপাশি তাদের দূতাবাসও সরিয়ে নেবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য বাস্তবতাকে মেনে নেয়াই মঙ্গলজনক ছিল। তাদের উচিত ছিল জেরুজালেম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো স্বীকার করে নেয়া ও শান্তির জন্য কাজ করা, উগ্রপন্থা নয়। নেতানিয়াহু বলেন, জেরুজালেম শুধু ইসরাইলের রাজধানীই না, এটি একটি পবিত্র শহর। এখানে সকল ধর্মের লোকদের প্রার্থনার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। আমরা এটা অঙ্গীকার করছি, যা মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কেউ পারে নি। এর আগে বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জরুরি অধিবেশনে বসেন মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। ওআইসি এই ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে। ওআইসির সম্মেলনে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্ব প্রতিরোধ করার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানানো হয়। এতে বলা হয়, ট্রাম্প তার এই অবৈধ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মার্কিন প্রশাসনকেই দায় নিতে হবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের আহবানে ওআইসি’র এই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০ টি দেশ অংশ নেয়।