গাজীপুরে একটি মসজিদের নৈশ প্রহরীকে মসজিদের ভেতরে গলাকেটে খুন করা হয়েছে। পুলিশ রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত আব্দুল মোতালেব মিয়া (৬৮) এর বাড়ি ময়মনসিংহের বাগতাবাজার গ্রামে। তিনি স্থানীয় ভোগড়া এলাকার সাইদুর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকায় নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত হওয়া ভোগড়া সরকার পাড়া জামে মসজিদ নামের ওই মসজিদে নিহত আব্দুল মোতালেবকে ১০-১২ দিন আগে নৈশ প্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মসজিদের মোয়াজ্জিন আযান দিতে এসে মসজিদের ভেতর আব্দুল মোতালেবের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফয়সাল আহমেদ সরকার জানান, ‘সপ্তাহখানেক আগে ভোগড়া পূর্বপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন সরকারবাড়ি জামে মসজিদে তাকে প্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিদিনের মত রাতের খাবার সেরে মোতালিব বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে চলে যান। বৃহস্পতিবার ভোরে মসজিদের মোয়াজ্জিন ফজরের আজান দিতে গিয়ে মোতালিবের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে তিনি ঘটনাটি মসজিদ কমিটি ও পুলিশকে জানান। মোতালেব মিয়া আগে এলাকায় পরিত্যাক্ত বোতল ও মালামাল সংগ্রহ করে বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
জয়দেবপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড় কাটা ছিল। এলাকায় কারো সঙ্গে তার বিরোধ ছিল এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। মসজিদ প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত কাউকে ফাঁসানো জন্যই ওই নিরীহ নৈশ প্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে জানা যাবে। সকালে লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।