ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস প্রেস থেকে হতো বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ দমন শাখা (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইড কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২০শে অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে। এরপর পর্যায়ক্রমে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রশ্ন ফাঁস চক্রের আরো আট সদস্যকে। গত সোমবার নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছামীকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসে সিআইডির একটি বিশেষ দল। তিনি বলেন, এছামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গতকাল জামালপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুল ইসলামকে। পরে আজ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খান বাহাদুর নামে এক যুবককে। নজরুল ইসলাম আরো বলেন, খান বাহাদুর ঢাকার একটি প্রেসের কর্মচারি। এই প্রেসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপানো হতো। বাহাদুরের মাধ্যমেই মূলত ছাপাখানা থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে চলে যেত সাইফুলের হাতে। তারপরই রাকিবুল হাসান এছামী তা ভর্তিচ্ছুদের কাছে বিক্রি করতেন।