গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হতে না পারলেও কঠিন লড়াই করেছে। আর তাই বিজেপির গত বারের জয়ের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব হয় নি। বিজেপি গত বারের ১১টি আসন হারিয়ে এবার ১০৪টি আসনে জয়ী হতে চলেছে। অন্যদিকে কংগ্রেস গতবারের চেয়ে ১২টি আসন অতিরিক্ত পেয়ে বিজয়ী হতে চলেছে ৭৩টি আসনে। কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলি পাচ্ছে ৩টি আসন। নির্দলীয়রা পাচ্ছে ২টি আসন।গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনকে ঘিরে সারা ভারতে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। ভোট গণনার আগের দিন দু পক্ষই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো তাঁর রাজ্য গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। এবারের নির্বাচনী প্রচারে মোদিই ছিলেন বিজেপির মূল ইস্যু। এবার নিয়ে টানা ছয়বার গুজরাট বিধানসভার দখল রাখতে চলেছে বিজেপি। তবে ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিজেপি শহর ও শহরতলীতে বেশি ভোট পেলেও ১০০টি গ্রামীণ আসন এলাকায় কংগ্রেস ও বিজেপি প্রায় সমান সমান ভোট পেয়েছে। বিজেপি মধ্য ও দক্ষিণ গুজরাটে বেশি ভোট পলেও সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে কংগ্রেস বেশি ভোট পেয়েছে। আর উত্তর গুজরাটে লড়াই হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপি নতুন করে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। সেখানে মোট ৬৮ আসনের মধ্যে ৪১ টিতে বিজেপির জয়লাভ করার সম্ভাবনা স্পষ্ট। আর কংগ্রেস গতবারের ১৪টি আসন হারিয়ে এবার পেতে চলেছে ২২টি আসন। অন্যান্যদের পাওয়ার সম্ভাবনা ৫টি আসন। ভোটের ময়দানে গুজরাটের মতো নজর কাড়া রাজ্য হিমাচল প্রদেশ ছিল না। তবে বিজেপির ক্ষমতার আরও সম্প্রসারণ বনাম কংগ্রেসের মাটি ধরে রাখার লড়াই, এ বার হিমাচলের ভোটকে অন্য মাত্রা দিয়েছিল। তবে গুজরাটের ফল ভারতের আগামী দিনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের তরুণ সভাপতি রাহুল গান্ধী এই নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলেও বিজেপিকে কঠিন লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করিয়েছিলেন।