রায়হান কবির, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: সঞ্জয় লীলা বানসালির নির্মিত সিনেমা ‘পদ্মাবতী’ অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘পদ্মাবতী’র। কর্নি সেনাদের বিক্ষোভের মুখে আটকে গিয়েছিল ছবিটির মুক্তি। তবে সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড থেকে বলা হয়েছে, কিছু দৃশ্য বাদ দিলে এবং ছবির শিরোনাম পাল্টালে মুক্তির ছাড়পত্রের সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত এই সিনেমাটিকে।
জানা গিয়েছে, এই ছবির কিছু অংশের পরিবর্তন করে তবেই মুক্তি দেয়া যাবে। যার মধ্যে ২৬টি কাটের সুপারিশ রয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে সংবাদ সূত্রে। নাম পাল্টে ‘পদ্মাবতী’-কে মুক্তির অনুমতি দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। ছবিটির নাম পাল্টে রাখা হতে পারে ‘পদ্মাবত’। ছবিতে সতী প্রথাকে সমর্থন জানানো হচ্ছে না বলেও জানাতে হবে। পাশাপাশি ‘ঘুমর’ শিরোনামের গানেও কিছু পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই গানে যে ভাবে রানি পদ্মাবতীর নাচ দেখানো হয়েছে, তা পরিবর্তন করতে হবে। শর্ত মানার পরই মুক্তিতে আর কোনও বাধা থাকবে না।
কিন্তু কেন এই নামবদল? চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ষষ্ঠদশ শতকে সুফি কবি মহম্মদ জয়সির পদ্মাবত কবিতায় রাজপুত রানির কাহিনি লিখেছিলেন। সেই কবিতাকে মাথায় রেখে ‘পদ্মাবতী’র চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সঞ্জয় লীলা বানসালি। এছাড়াও ‘পদ্মাবতী’কে নিয়ে এতো বিতর্কের পর আর ঝুঁকি নিতে চায়নি সেন্সর বোর্ড। জটিলতা কাটাতে জয়সির কবিতার নামেই ছবিটির নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে সঞ্জয়ের ১৯০ কোটি রুপি বাজেটের এই ছবি বারবার বিতর্কের মুখে পড়েছে। সেন্সর বোর্ডের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর যদিও পরিচালক বা প্রযোজকের পক্ষ থেকে কেউই এখনও মুখ খোলেননি। ফলে সেন্সর বোর্ডের সুপারিশ মেনে ছবিটি আদৌ মুক্তি পাবে কিনা, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। সিনেমাটিতে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন রণবীর সিং ও শহীদ কাপুর।