আরজে রাফি, নিউজ ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নিজস্ব তহবিল থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ঐতিহাসিক সোহাগপুর বিধবা পল্লীর বীরাঙ্গনা ও বিধবা নারীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাকরকান্দি খেলার মাঠে বীরাঙ্গনা ও বিধবা নারীদের মাঝে ৮০টি চাদর ও ৪০টি কম্বল বিতরণ করা হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসমত আরা আসমা, পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক ও কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ তালুকদার। এ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন, সহ-সভাপতি আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক মো.ফজলুল হকসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা লুকিয়ে আছে এই অজুহাতে পাকহানাদার গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যার নিহত হন ১৮৭ জন গ্রামবাসী। বিধবা হন ৬২ জন গৃহবধু।
সে সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার শিকার হন ১৩ নারী। হত্যাযজ্ঞের কারণে সোহাগপুর গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে যায়। পরে অনেক নারী বিধবা হওয়ায় সোহাগপুর নামটির পরিবর্তে গ্রামটির নাম রাখা হয় বিধবাপল্লী।
মুক্তিযদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার ১৩ জন বিধবার মধ্যে চারজনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। স্বীকৃতি না পাওয়া বাকি নয় বীরাঙ্গনার মধ্যে ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই মারা যান জরিতন বেগম। নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এখনও অপেক্ষার প্রহর গুনছেন বাকি বীরাঙ্গনারা।