হিথ স্ট্রিক ও চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এ দুই কোচ বেশ ভালোই জানেন মাশরাফি বাহিনীর শক্তি-সামর্থ্য। তাই মাঠে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে লড়াইয়ের উত্তাপ ছড়াবে মাঠের বাইরেও। এ দুই দলের কোচের পরিকল্পনাকে ঠেকাতে নতুন রণ কৌশলই আঁটতে হচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে। একাদশ থেকে শুরু করে খেলার ধরনে ঝুঁকি নিয়েই লড়াইয়ের পরিকল্পনা করতে হবে। কী পরিকল্পনা থাকছে টাইগারদের? এ নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘দেখেন আমরা যে পরিকল্পনা করছি না, সেটা কিন্তু না। ক্রিকেটে স্মার্ট হওয়া ভালো কিন্তু ওভার স্মার্ট হওয়া ভালো না। আমরা ওভার স্মার্ট হতে চাচ্ছি না। অবশ্যই হাথুরুসিংহে একটা পরিকল্পনা করবে। আমাদেরও থাকবে। বাস্তবায়ন যদি করতে পারি আমরা অবশ্যই নতুন কিছু করার চেষ্টা করবো। আপনি যেখানে প্রশ্ন করেছেন এর কাছাকাছি আমরাও চিন্তা করছি। ঝুঁকি থাকলেও আমরা সেরকমই কিছু কাজ করবো। আমি মনে করি পূর্ণ সহযোগিতা আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের করবো। এবং তাদেরকে ফুল ফ্রিডম দেয়া হবে। তারা যেটা করে আসছে সেটাই যেন করে। আমরা কোনো চিন্তা না করে সেটাই করবো।’
গতকাল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলের সংবাদ সম্মেলন জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন হাথুরুসিংহে। দারুণ প্রতাপ ও প্রভাব নিয়ে তিনি কাটিয়েছেন বাংলাদেশে সময়। তার কথাতেই নির্বাচন পদ্ধতিতে আসে পরিবর্তন। দল নির্বাচনে তার উপরে কথা বলাই ছিল কঠিন। মাঠে ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা নিয়েও তার সমালোচনা কম ছিল না। এবার কতটা নির্ভার টাইগারদের ড্রেসিংরুম। এ বিষেয় মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘আসলে যেটা হয় কমফোর্ট জোনটা নিজের উপর নির্ভর করে। মানসিক চাপ সব সময় থাকে। এটা স্বাভাবিক। এখনো সেটা আছে। তবে ড্রেসিংরুম এখন অনেকটাই নির্ভার। যে প্রেসারটা সব সময় ড্রেসিংরুমে থাকে তা ফিল করছি না তাই অধিনায়ক হিসেবেও আমার রিল্যাক্স থাকতে সুবিধা হয়। পাশাপাশি এটা চাই না অনেক বেশি রিল্যাক্স থাকুক। রিল্যাক্স থাকলে মাঠে নেমে কঠিন পরিস্থিতিতে সেরা পারফরম্যান্স বের হয়ে আসে।’
২০১৪তে হারের বৃত্তে আটকে যাওয়া বাংলাদেশকে জয়ের ধারাতে ফিরিয়েছেন হাথুরুসিংহে। বিশ্বে প্রচার আছে তার অধীনেই বদলে গেল বাংলাদেশ দল। তাকে ছাড়া দল কতটা প্রস্তুত? মাশরাফি অবশ্য তাদের উন্নতির অবদানে হাথুরুর ভূমিকাকে অস্বীকার করলেন না। সেই সঙ্গে নিজ দলের ক্রিকেটারদেরও অবদানের কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘দেখেন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে যারা খেলোয়াড় আছে তারা অনেক বড় মানসিকতা নিয়ে ঘোরে। অন বিহ্যাফ অফ দ্যা প্লেয়ার আমি হাথুরুসিংহকে স্যালুট জানাই। অবশ্যই তার আন্ডারে খেলে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। অবশ্যই ক্রেডিট তাকে দিতে আমাদের বিন্দুমাত্র সংকোচ নেই। আমরা এমন নয় যে তাকে ক্রেডিট দিতে চাই না। আবার আমাদের তামিমের রেকর্ড, মুশফিক ও মোস্তাফিজের রেকর্ড শেষ বছরে যদি দেখেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যখন একশ করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তখন আমার কাছে মনে হয়নি কেউ ওখানে গিয়ে তাদেরকে আলাদা করে ধরে খেলিয়ে দিয়ে এসেছে। সে তার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছে এবং পারফরম্যান্স করেছে। আমি যেটা মনে করি যিনিই কোচ থাকুক তাকে শতভাগ ব্যাক করেছি আমরা খেলোয়াড়রাও। আমাদের বলতে সেটা দ্বিধা নেই। আবার ক্রেডিট ছেলেদের দিতে হবে যেভাবে তারা খেলেছে।’