জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত ৫নং বিশেষ আদালতে মধ্যাহ্নভোজের আগে তার পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর মামলার অপর দুই আসামি কাজী সালিমুল হক ও শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু হলেও আজকের জন্য তা মুলতবি ঘোষণা হয়। আগামীকাল পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে খালেদার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের কাছে তার আইনজীবী মওদুদ আহমেদ স্থায়ী জামিন চাইলে সেটি নাকচ করে দেন আদালত।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে বিশেষ আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এগারোটা ৪৫ মিনিটে মামলার দশম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। বিশেষ এই আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ড. আখতারুজ্জামান।
খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ মামলায় যুক্তর্তক উপস্থাপন করেছেন। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ই আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় অপর মামলাটি করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অন্যদিকে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে।