রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ দুই উইকেটে ১৪৬ রান। সেখান থেকে হঠাৎ ধস। স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ ১৬৭ রান হতে না হতেই নেই আরও ছয় উইকেট। জিম্বাবুয়ের বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে দ্রুতই ছয় উইকেট হারিয়ে বিপাকে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালের টিকেট কাটা বাংলাদেশ। ৪২.২ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ আট উইকেটে ১৭০ রান। মুস্তাফিজ্রু রহমান ও সানজামুল ইসলাম ব্যাট করছেন ১ রানে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। ওই ম্যাচে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ফিরতি ম্যাচে আবারও জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখে শুনেই করেছিলেন বাংলাদেশি দুই ওপেনার। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ঘটে ছন্দপতন।
জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জারভিসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বিজয়। আউট হওয়ার আগে ডানহাতি এই ওপেনার সাত বল খেলে ১ রান করেন। এরপর দলের হাল ধরেন তামিম-সাকিব। দুজনে মিলে গড়েন ১০৬ রানের জুটি। ইনিংসের ২৮তম ওভারে সিকান্দার রাজাকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সাকিব।
আউট হওয়ার আগে সাকিব ৮০ বলে ছয়টি চারে ৫১ রান করেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বিদায়ের পর ক্যারিয়ারের ৪১ তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। ৭৮ বলে চারটি চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ত্রিদেশীয় সিরিজে এটা তার টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন মুশফিক। কিন্তু ইনিংসের ৩৫তম ওভারে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে মুজরাবানির হাতে ধরা পড়েন ডানাহতি এই ব্যাটসম্যান।
এক ওভার পর বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহও (২)। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেমারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। দুই ওভার পরে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে সেই ক্রেমারের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তামিম। এটা ক্রেমারের তৃতীয় শিকার। পরের ওভারে পেসার জারভিস তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন সাব্বিরকে। ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে সাব্বির করেন ছয় রান।
ইনিংসের ৪২ তম ওভারে জারভিসের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নাসির (২)। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই ম্যাচে এটা ক্রেমারের চতুর্থ শিকার এবং ক্যারিয়ারের ১০০ তম ওয়ানডে উইকেট।