রায়হান কবির, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: আজ দুপুরে বিসিবি একাডেমি ভবনে সৌম্য সরকারের সঙ্গে দেখা মাশরাফি বিন মুর্তজার। খানিক আগেই বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা হচ্ছিল টেস্ট দল নিয়ে। মাশরাফি যদিও বললেন, টেস্ট দলটা তিনি দেখেননি।
না দেখলেও মাশরাফির হয়তো অজানা নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ১৪ জনের যে দল দিয়েছে বিসিবি, সেখানে নেই সৌম্য। বাঁহাতি ওপেনারের বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে আগেই, ত্রিদেশীয় সিরিজের ওয়ানডে স্কোয়াডেও অনুপস্থিত তিনি। সৌম্য হয়তো বলতে পারেন, বাদ পড়ার বেদনা নতুন করে অনুভবের কী আছে!
তবে সৌম্য-তাসকিন আহমেদের মতো জাতীয় দল থেকে প্রথম বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা আজ হয়েছে সাব্বির রহমানের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেন, রানের চাকা সচল রাখতে পারেন—সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাই মাশরাফির চোখে সাব্বির একজন ‘ইম্প্যাক্ট’ খেলোয়াড়। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারেন বলে বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সাব্বিরকে টেস্টও খেলিয়েছেন নিয়মিত।
বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে মানানসই নন, এ যুক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টেস্টে নিজের প্রথম ছয় ইনিংসে তিন ফিফটি করে ফেলেছিলেন সাব্বির। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় স্কিলের বড় পরীক্ষায় ‘গোল্লা’ পাওয়া বাংলাদেশ দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের জায়গা হয়নি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা সাব্বিরের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি। ২০১৬ সালে অক্টোবরে টেস্ট অভিষেকের পর তিন সংস্করণে বাংলাদেশ যে ৩৯ ম্যাচ খেলেছে তার ৩৮টিতেই ছিলেন সাব্বির। কদিন আগে শৃঙ্খলাভঙ্গে বড় শাস্তি পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। এবার বাদ স্কোয়াড থেকেই।
টেস্ট অভিষেকের আগে সাব্বির একবার বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম আমার লাকি গ্রাউন্ড, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই আমার অভিষেক এখানে।’ ভাগ্য এভাবেই নির্মমভাবে খেলে—সাব্বির জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন চট্টগ্রামেই বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচের আগে!