স্বদেশ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তরগেট থেকেও বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। একইভাবে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকেও মিছিল বের করা হয়। এ সময় বিএনপি কার্যালয় ভবনের চার তলার উপর থেকে নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তবে পুলিশের বাধার মুখে তারা আশপাশের গলিতে পালিয়ে যান। এ সময় সেখান থেকে দুইজনকে আটক করা হয়।
এর আগে সকালে পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া কেমন আছেন, আমরা জানি না। আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কিভাবে রাখা হয়েছে, তিনি কেমন আছেন?
তিনি বলেন, গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি, খালেদা জিয়াকে সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় সরকারের রুচিবোধ কতটা নিচে! আসলে কী ঘটছে, তিনি কেমন আছেন, আমরা কিছুই জানি না। সরকারের কাছে জানতে চাই।
নির্বাচনী বৈতরণী পার হতেই খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এর মাধ্যমে আপনি কী অর্জন করলেন। হঠাৎ যদি কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যায় তখন কী করবেন? হুমকি-ধমকি দিয়ে কাউকে কী থামাতে পেরেছেন? পারেননি। হাজার হাজার জনতা বাধার মুখে তাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে আদালতে গেছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়ার জেল হবে, তাকে কারাগারে যেতে হবে এমন কথা সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও সরকার দলীয় নেতারা বিগত ২ বছর ধরেই বলে আসছেন। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পরও দেখা গেছে সরকারের মন্ত্রীদের দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে আদালতের রায়ের হুবহু মিল রয়েছে।
রিজভী বলেন, সাজানো মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে দেশ-বিদেশে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ দেশের সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখান করেছে।
ক্ষমতাসীনরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। রায়কে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ৭০০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজুজ্জামান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, জাসাসের সহ সভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন প্রমুখ।