ইতোমধ্যে চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের একটি কনসোর্টিয়াম ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিটি ২২ টাকা মূল্যে ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার প্রস্তাব করেছে।
প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেয়ার বাজারে টেকনিক্যাল সহায়তা দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। তবে ডিএসইতে একটি পরিচালকের পদ চেয়েছে চীনা কনসোর্টিয়াম। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিনিয়োগের কোনো অংশ ফেরত চাইবে না প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) একটি কনসোর্টিয়াম প্রতিটি ১৫ টাকা মূল্যে শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। আমেরিকান নাসডাক ও ফ্রন্টিয়ার ফান্ড ফর বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আছে প্রতিষ্ঠানটির।
প্রস্তাবনায় ডিএসইতে টেকনিক্যাল সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে এনএসইও। তবে এর আর্থিক মূল্য উল্লেখ করেনি তারা। তবে ডিএসই বোর্ডে দুইটি পরিচালকের পদ চেয়েছে তারা। সঙ্গে পাঁচ বছর পর যাতে পরিচালকের পদ ছেড়ে দেয়া যায়- সেই সুযোগও চেয়েছে তারা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি দাম হাকিয়েছে চীন। তাই শনিবারের বোর্ড মিটিংয়ে চীনা প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রক্রিয়া সামনে এগিয়ে নেয়ার অনুমতি দেয়নি। প্রস্তাবনা নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বলেছে তারা।
একই সময়ে, ভারতের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চীন শেয়ার কেনার সুযোগটি পেয়ে যেতে পারে। এজন্য ডিএসই ও বিএসইসিতে লবিং শুরু করেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য রোববার এনএসইর সিইও বিক্রম লিমায়ে ঢাকায় এসেছেন বলে বিএসইসি জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে ডিএসই ও বিএসইসির ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও করেছেন তিনি। বৈঠকে তারা প্রস্তাব গ্রহণ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বিক্রম। এদিকে তার সঙ্গে বৈঠকের পর দুই দেশের প্রস্তাবনা পুনরায় খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।