রায়হান কবির, স্বদেশ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমঃ কোন পাসপোর্টের দাম কেমন, কোনটি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, তা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আলোচনা চলে হামেশাই। পাসপোর্টের দাম নির্ভর করে দেশটির আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের ওপর। আর পাসপোর্টের ক্ষমতা কতখানি তা বোঝা যায় সেই পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি দেশে বিনা ভিসায় প্রবেশ করা যায়, সে সংখ্যাটা দিয়ে। বিশ্বের দামি পাসপোর্টগুলোর তালিকায় ব্রিটিশদেরটা পেছনে থাকলেও মার্চের শেষের দিক থেকে তা নিতে হলে নাগরিকদের গুণতে হবে বেশি অর্থ।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, নিয়মিত পাসপোর্ট করতে হলে প্রাপ্তবয়স্ক একজন ব্রিটিশ নাগরিককে দিতে হবে ৮৫ পাউন্ড। আর পাসপোর্ট জরুরি ভিত্তিতে করাতে চাইলে দিতে হবে ১৭৭ পাউন্ড।
অনলাইনে পাসপোর্ট পাওয়ার আবেদনের খরচ ৭২.৫০ পাউন্ড থেকে বেড়ে হতে যাচ্ছে ৭৫.৫০ পাউন্ড। আর সরাসরি পাসপোর্ট আবেদনের খরচ হবে ৮৫ পাউন্ড। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য অনলাইনে খরচ ৪৬.৫০ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫৮.৫০ পাউন্ড। আর সরাসরি আবেদনপত্র জমা দিলে তা হবে ৪৯ পাউন্ড।
তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ৮৫ পাউন্ডের খরচটা বিশ্ব দরবারে মলিনই থেকে গেল। সাশ্রয়ী পাসপোর্ট হিসেবেই গণ্য হবে ব্রিটিশ পাসপোর্ট।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট খরচ ১ জানুয়ারিতে ২৭৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮২ ডলার। আর এর মধ্য দিয়েই অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি পাসপোর্ট। ১৮২.৮৯ ব্রিটিশ পাইন্ড মূল্যমান নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। তৃতীয় অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড। নতুন একটি পাসপোর্ট করাতে একজন সুইস নাগরিককে গুণতে হয় ১০২ পাউন্ড।
তবে শুরুতেই যেটা বলেছিলাম, পাসপোর্টের দাম বেশি হলেই কিন্তু সেটা শক্তিশালী হবে, এমন কোনো কথা নেই। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট এখন জার্মানির। ১৭৬টি দেশে বিনা ভিসায় যাওয়া যায় এই পাসপোর্ট দেখিয়ে। অথচ অস্ট্রেলিয়া সেখানে তালিকায় ২৩ নম্বরে। ১৭০টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবেন একজন অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্টধারী।