নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও টেকনাফের কেরুনতলিতে দুটি ট্রানজিট পয়েন্ট নির্মিত হচ্ছে। ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে স্থলপথে এবং কেরনতলি পয়েন্ট দিয়ে নাফ নদী হয়ে নৌপথে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানো হবে।
গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চালায়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকে। এরইমধ্যে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছে।
এসব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে গতবছরের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি করে। চুক্তিতে দুই মাসের মাথায় প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেননি।
তবে সম্প্রতি চুক্তির আওতায় ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ সরকার সীমান্তের ১০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল। তবে মিয়ানমার সরকার শুরুতে দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপনে সম্মত হয়।
তিনি বলেন, প্রথম দিকে দুটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে। তাই স্থল ও নৌ পথে দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই এগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে।