তারপরও থেমে যাননি ‘সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতায় থাকা প্রধান চার বিচারকের একজন কুমার বিশ্বজিৎ। বারী সিদ্দিকী পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে প্রয়াত শিল্পীর কন্যা এলমা সিদ্দিকীর কণ্ঠে তুলে দিলেন সেই গান।
গেলো ১৭ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মগবাজারে তরুণ কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক কিশোর দাশের স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। ভয়েজ রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেন আমজাদ হোসেন বাপ্পী। রেকর্ডিংয়ের সময় স্টুডিওতে আরো উপস্থিত ছিলেন শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, কুমার বিশ্বজিৎ ও কিশোর দাশ।
এলমার কণ্ঠে বারী সিদ্দিকীর শেষ গানটি প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, শিল্পীরা যেন আমাদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের পাশে আন্তরিকতা নিয়ে, দায়িত্বাবোধের স্থান থেকে দাঁড়াই। এলমাকে সহযোগিতার মধ্যদিয়ে এর শুভ সূচনাটাই আমার চেষ্টা।
বারী ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই এলমাকে দিয়ে গানটি গাওয়ানো। কারণ দাবির জায়গা থেকে এই গানটি বারী ভাইয়ের পরিবারেরই পাওনা। শিল্পী পরিবারের সন্তানকে প্রাথমিক সিঁড়ির ধাপ ঠিক করে দেয়া আমাদেরই কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, এলমার মধ্যে বাউলিয়ানা ভাবটা আছে। চেষ্টা করলে সে আরো পরিণত বয়সে ভালো একজন সংগীতশিল্পী হতে পারবে।
এদিকে এলমা সিদ্দিকী বলেন, আব্বুর খুব ইচ্ছে ছিল এই গানটি গাওয়ার। কিন্তু শেষমেশ তা হলো না। আব্বুর কাছেই গানের টুকটাক শিখেছি। বাবার লেখা এবং সুরেই ‘বাউল বাড়ি’ গানটি প্রথম গাই। গানটির লাইভ শোতেও গেয়েছিলাম।
‘কী আগুন জ্বালাইলি’ গানটির কথা এবং সুর সংগীত আমার মন ছুঁয়ে গেছে। এই গানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরকিভাবে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে বিশ্বজিৎ কাকুর প্রতি। আসছে পহেলা বৈশাখে বাংলা ঢোলের ব্যানারে গানটি মিউজিক ভিডিও আকারে ইউটিউবে প্রকাশ হবে।
সম্প্রতি এলমা সিদ্দিকী লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে ঢাকায় ফিরেছেন।
এদিকে কুমার বিশ্বজিৎ তার ছেলে কুমার নিবিড়ের নির্দেশনায় প্রথম কোনো মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন। শহীদুল্লাহ ফরায়েজীর লেখা ‘প্রশ্নই উঠে না’ শিরোনামের এই গানটি ইউটিউবে প্রকাশ হয়েছে।