রাফি সম্পাদনায় , স্বদেশ নিউজঃ
চন্দিকা হাথুরুসিংহে পদত্যাগ করার পর জাতীয় দলের প্রধান কোচ নিয়োগ নিয়ে বেশ কালক্ষেপণ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে প্রধান কোচ ছাড়াই দেশের মাটিতে তিন তিনটি সিরিজ খেলে করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। পাশাপাশি তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’ এর মোড়কে কোচের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজন। মিডিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। সমালোচনার শিকার নির্বাচকমণ্ডলীও।
আগামী মার্চে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ‘নিদাহাস ট্রফি’ খেলতে যাবে টাইগাররা। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বাগতিকদের পাশাপাশি থাকবে শক্তিশালী ভারত। এমন শক্তিধর দলের বিপক্ষে সিরিজের আগে প্রধান কোচ নিয়োগের তোড়জোর শুরু করেছে বিসিবি। এ মাসের মধ্যেই কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে জানতে চাওয়া হলো কোচ নিয়ে।
ম্যাশ বললেন, ‘প্রতিটি দলে হেড কোচ তো অবশ্যই প্রয়োজন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা সবাই খেলি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তো চেষ্টা করছে একজন কোচ নিয়ে আসার। বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হল। কিন্তু বোর্ড এখনও পর্যন্ত কাউকে বাছাই করতে পারল না।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে থেকেই একটি কথা বারবার বলা হচ্ছিল যে, চন্দিকা নিশ্চয়ই তার সাবেক শিষ্যদের দুর্বলতাগুলো বর্তমান শিষ্যদের কাছে ফাঁস করে দিয়েছেন। এটা ওদের সাফল্যের একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু তখন সহকারী কোচ থেকে শুরু করে ক্রিকেটাররা পর্যন্ত উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই কথা। মাশরাফির কাচে প্রশ্ন করা হলো, গত তিন সিরিজে কি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা হাথুরুসিংহে ভীতিতে ভুগেছে?
জবাবে নড়াইল এক্সপ্রেস বললেন, ‘ওয়ানডে সিরিজের সময় হাথুরুসিংহেকে নিয়ে কখনো আলোচনা হয়নি।তবে যদি কেউ মনে সেই ভয় পুষে রাখে সেটা বলা কঠিন। কারণ অনেকের টেকনিক্যাল দুর্বলতা বা শক্তিমত্তার কথা হাথুরুসিংহে জানতেন। এখন অনেক কথা শুনতে হবে। আলোচনা-সমালোচনা হবে। সামনে নতুন সিরিজ, নতুন টুর্নামেন্ট। ফিরে তো আসতেই হবে। এখানে ইতিবাচক হতে হবে। আমাদের দুটি সিরিজ খারাপ গেছে। এই অবস্থা কাটাতে আমাদের এখন একটা ভালো সিরিজের প্রয়োজন।’
ম্যাশ যতই বলুন না কেন, শ্রীলঙ্কার মাটিতে আসন্ন নিদাহাস ট্রফিতে কঠিন থেকে কঠিনতম পরীক্ষা অপেক্ষা করে আছে টাইগারদের জন্য।